Digha Jagannath Temple

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়ে গিয়েছে, আরামবাগের সভা থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই সমুদ্রের ধারে এই জগন্নাথ মন্দিরটি করার কথা বলেছিলেন মমতা। কিন্তু আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে পরে দিঘা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মন্দিরের জন্য জায়গা বাছা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৭
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

দিঘায় নির্মীয়মা‌ন জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি তৈরি হয়ে এসে গিয়েছে। সোমবার আরামবাগের সরকারি কর্মসূচি থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘‘একেবারে পুরীর মন্দিরের মতো তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ঠাকুরও তৈরি হয়ে চলে এসেছে। শুধু ওদেরটা নিমকাঠের। আমাদেরটা মার্বেলের।’’

Advertisement

হুবহু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। পরে অবশ্য জমি দেখে সমস্ত আয়োজন করে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে সময় লেগে যায় আরও চার বছর। ২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নির্মাণ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। ঘটনাচক্রে, সে দিনই অযোধ্যার রামমন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করতে চান।

গত বছর এপ্রিলের গোড়ায় নির্মীয়মান মন্দির চত্বরটি পরিদর্শন করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিরাট এক কর্মযজ্ঞ চলছে। হাজার হাজার বছর ধরে জগন্নাথের এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’’ যদিও সেই সময়ে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দিঘার জগন্নাথ মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিন-চার মাসের মধ্যে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফলে লোকসভা ভোটের আগে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সুযোগ কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই সমুদ্রের ধারে এই জগন্নাথ মন্দিরটি করার কথা বলেছিলেন মমতা। কিন্তু আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই পরে দিঘা স্টেশন সংলগ্ন ২০ একর জমি এই মন্দিরের জন্য দেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জোরকদমে চলছে মন্দির তৈরির কাজ। মন্দিরটি তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্যের হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিডকো)। দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা হবে ৬৫ মিটার বা ২১৩ ফুট। যা পুরীর মন্দিরেরই উচ্চতার সমান। নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৪৩ কোটি টাকা।

হুগলি থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তাও দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এই জেলার এক দিকে কামারপুর-জয়রামবাটি, অন্য দিকে তারকেশ্বর, ব্যান্ডেল চার্চ, ফুরফুরা শরিফ— সব রয়েছে। সবাইকে নিয়েই বাংলা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement