Food Department

রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে ৫ লক্ষ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত খাদ্য দফতরের

ওপেন মার্কেট সেল স্কিমে (ওএমএসএস) কেন্দ্রের কাছ থেকে গম দেওয়ার জন্য রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ১৪:৫০
Share:

রেশন দোকানের চাহিদা মেটাতে খোলাবাজার থেকে চাল কিনবে খাদ্য দফতর। — ফাইল চিত্র।

রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে খোলাবাজার থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল খাদ্য দফতর। তবে ঘাটতি মেটাতে ঠিক কী পরিমাণ চাল কেনা হবে, তা নিয়ে এ বার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেই খাদ্য দফতর সূত্রে খবর। খোলাবাজার থেকে এই চাল কেনার জন্য দ্রুত ‌ই-টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজ করতে গড়া হয়েছে সাত জন আধিকারিকের একটি কমিটি। ওপেন মার্কেট সেল স্কিমে (ওএমএসএস) কেন্দ্রের কাছ থেকে গম দেওয়ার জন্য রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন।

Advertisement

সেই চিঠিতেই জানানো হয়, রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে যেন কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে খাদ্যশস্য দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে গম দেওয়ার আবেদন জানানো হয় চিঠিতে। যদি কোনও কারণে গম দেওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে রাজ্যের রেশন ব্যবসা সচল রাখতে যেন চাল দেওয়া হয়। ৮০ হাজার মেট্রিক টন গম চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, খাদ্য মন্ত্রক রাজ্যকে জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে এই মূহূর্তে চাল দেওয়া সম্ভব নয়। সঙ্গে রাজ্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে, পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে সারা দেশের মধ্যে প্রথম। এমন চিঠি পাওয়ার পরেই ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা। দফায় দফায় বৈঠক করে ঠিক হয়, খোলাবাজার থেকে চাল কিনে এই ঘাটতি মেটানো হবে। গত বছরও ঘাটতি মেটাতে খোলাবাজার থেকে চাল কিনেছিল খাদ্য দফতর।

কিন্তু এ বছর খোলাবাজারে চালের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই খোলাবাজার থেকে চাল কেনার খরচ গত বছরের তুলনায় বাড়বে বলেই মনে করছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। ৩১ টাকা কেজি দরে কেন্দ্রের কাছ থেকে চাল কিনতে পারলে রাজ্য সরকারের আর্থিক ভাবে সুবিধাই হত। কিন্তু এমনটা আর সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের এখন শুধু চাল দেওয়া হয়। তাতেই চালের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই প্রকল্পে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ গ্রাহককে মাসে মাথাপিছু ২ থেকে ৫ কেজি চাল দিতে হচ্ছে খাদ্য দফতরকে। তাই খোলাবাজার থেকে চাল কেনা ছাড়া আর কোনও পথ নেই তাদের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement