আজ ফের দেখা যেতে পারে দুর্ভোগের এই চিত্র।—ফাইল চিত্র।
চলছিল ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে টানাপড়েন। তার উপরে চলছে দফায় দফায় ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। তার জেরে আজ, সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বেসরকারি বাসের সংখ্যা আবার কমে যেতে পারে। ফলে পথে বেরিয়ে মানুষের দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকছে।
বাস-মালিক সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, গত ২০ দিনে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে আট টাকার বেশি বেড়েছে। তুলনায় যাত্রী কম থাকায় বাস-পিছু আয় সে-ভাবে বাড়েনি। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকায় বেসরকারি বাসের মালিকদের ক্ষতির বোঝাও দিন দিন বাড়ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আজ রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডিজেলের দাম যে-ভাবে বেড়েছে, তাতে কুলিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাস-মালিকেরা না-চাইলেও অনেকে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’’
উত্তর কলকাতার বিভিন্ন রুটে আজ বেসরকারি বাস-মিনিবাসের সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানান অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুও। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কোনও বাস-মালিককে রুটে বাস নামানোর জন্য জোর করতে পারছি না। ক’টি রুট সচল রাখতে পারব, বলতে পারছি না।’’ হাতে গোনা কিছু রুটে অল্প কিছু মিনিবাস সচল হয়েছিল। সেই সংখ্যা আরও কমে যেতে পারে। উত্তরের মতো মিনিবাসের সঙ্কট তীব্র হবে দক্ষিণ কলকাতাতেও। বারুইপুর, সোনারপুরে বাস-সঙ্কট বেশ কিছু দিন ধরেই ভোগাচ্ছে যাত্রীদের। আজ, সেই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
নাগেরবাজার, বনহুগলি, কামারহাটি, ব্যারাকপুর, দমদম-কেন্দ্রিক বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা কমতে পারে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এবং অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে যথাক্রমে টিটো সাহা এবং রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসের ভাড়া পুনর্বিন্যাস না-হওয়ায় চাপ আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় গণপরিবহণ সচল রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাবের সংখ্যাও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সরকারি বাসের সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি থাকলেও আজ পথে নেমে যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছেই।