নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নজরদারি কলকাতা পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো বিধায়ক ধরা পড়ার পরের দিনই নিরাপত্তা বাড়ানো হল বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে বিধানসভার নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। কোভিড সংক্রমণের সময় থেকেই বিধানসভার মাত্র একটি গেট কাজের দিনগুলিতে সারাদিন খোলা থাকে। আর পিছনের দিকের একটি গেট খোলা থাকে দুপুর ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। ওই দুটির গেটেরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পিছনের গেট দিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। আর মূল দরজায় পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের জনা দশেক কর্মীকে মূল গেটের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। গাড়িতে বা পায়ে হেঁটে যারাই বিধানসভায় আসছেন, তাঁদের সবার পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে কোনও ব্যাগ থাকলে, তা-ও পুলিশকর্মীরা পরীক্ষা করে দেখছেন। এ ছাড়াও, গোটা বিধানসভা চত্বরে পোশাকে কিংবা সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার বিধানসভায় ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি! নিজেকে বিধায়ক পরিচয় দিয়ে বিধানসভায় ঢুকেছিলেন গজানন শর্মা। বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পর ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। অসংলগ্ন কথা বলায় সহজেই ধরা পড়ে যান ভুয়ো বিধায়ক। তার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায় পুলিশের অস্থায়ী শিবিরে। সেখানেও অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়কেরা বিধানসভায় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়ও বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের আরও সচেতন হওয়ার কথা বলেন। কারণ বাজেট অধিবেশনের দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্যের প্রায় সব মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বিধানসভার নিরাপত্তার বিষয়টি। এমনিতে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ থাকেন তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু, বিধানসভা অধিবেশনের সময় বিধানসভার বাইরে ও ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কলকাতা পুলিশ। যেই কারণে বিধানসভায় ভুয়ো বিধায়ক ধরা পড়ার পর অস্বস্তিতে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার থেকেই বিধানসভার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হল।