AICC

ভবানীপুর ও সামশেরগঞ্জ নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চায় সিপিএম

ভবানীপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চান সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ১৯:৪৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ভবানীপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চায় সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সামশেরগঞ্জে সিপিএম ও কংগ্রেস দু’পক্ষেরই প্রার্থী ছিল। সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের মৃত্যুর কারণেই ভোট হয়নি। তাঁর মৃত্যুর পর কংগ্রেস ওই আসনে প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুনকে। এখনও ওই আসনে প্রার্থী সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মোদ্দাসর হোসেন। ভোট না হলেও ওই আসনে কোনওপক্ষই নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি। তাই ভবানীপুরে অধীরের প্রার্থী না দেওয়ার ইচ্ছে এবং সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার দু’জন প্রার্থী থাকায় যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতী সিপিএম।

Advertisement

এই আবহে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে দু’টি আসন নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে। কারণ, বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি মনে করে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলে জনমানসে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বনাম বিজেপি-র সরাসরি লড়াই হলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে সংযুক্ত মোর্চা। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজ্যজুড়ে প্রচার করার সুযোগও পেয়ে যাবে। বাম শরিকরা একথা বড় শরিক সিপিএম-কে জানিয়েও দিয়েছেন। তাই ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া বা না দেওয়া, সঙ্গে সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে একজন মাত্র প্রার্থী থাকা নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় সিপিএম।

তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে মঙ্গলবার রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ বিজেপি-তে যোগদান করায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও, দুই বিধানসভা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য রাজ্য সিপিএম-কে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement