নতুন অর্থবর্ষের প্রথম মাস থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর। বিধানসভায় স্ট্যান্ডিং ও অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। যার মধ্যে কেবল পাবলিক অ্যাকাউন্টস ও স্বরাষ্ট্র দফতর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যানদের জন্য গাড়ি ও জ্বালানি বরাদ্দ রয়েছে। সঙ্গে আরও তিনটি কমিটির চেয়ারম্যানরা প্রতি মাসে ২৫০ লিটার জ্বালানির দাম পেয়ে থাকেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা।
কোভিড অতিমারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দফায় দফায় লকডাউনের জেরে মার খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির কাজ। এ বার সেই কাজে গতি আনতে বিধানসভার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যানদের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এ বার থেকে কমিটির চেয়ারম্যানরা প্রতি মাসে গাড়ির খরচ বাবদ ১০০ লিটার জ্বালানির দাম পাবেন। তবে আগে তাঁদের নিজেদের তরফ থেকেই এই ১০০ লিটার পেট্রল বা ডিজেলের মূল্য বহন করতে হবে। তার পর মাসের শেষে সেই খরচের বিল জমা দিতে হবে বিধানসভার সচিবালয়ে। তার পরই তাঁদের প্রাপ্য অর্থ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
নতুন অর্থবর্ষের প্রথম মাস থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর। বিধানসভায় স্ট্যান্ডিং ও অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। যার মধ্যে কেবল পাবলিক অ্যাকাউন্টস ও স্বরাষ্ট্র দফতর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যানদের জন্য গাড়ি ও জ্বালানি বরাদ্দ রয়েছে। সঙ্গে আরও তিনটি কমিটির চেয়ারম্যানরা প্রতি মাসে ২৫০ লিটার জ্বালানির দাম পেয়ে থাকেন। এই পাঁচ কমিটি বাদ দিয়ে ৩৬টি কমিটির চেয়ারম্যানরা কোনও গাড়ি বা গাড়ি বাবদ খরচ এত দিন পেতেন না। তাই বিধানসভার সচিবালয়ের এমন সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানরা। সাম্প্রতিক কালে পেট্রেল, ডিজেলের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে এই সুবিধা পেয়ে তাঁরা সরকারি কাজে আরও গতি আনতে পারবেন বলেই মত বিধানসভার এক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের।
১০০ লিটার জ্বালানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিধানসভা সূত্রে খবর, অতিমারির সময় বার বার ধাক্কা খেয়েছে বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির কাজ। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করা তো দূর অস্ত, বিধানসভায় এসে বৈঠক করাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার ফলে পিছিয়ে গিয়েছিল বহু সরকারি কাজ। এখন জ্বালানির খরচ দিয়ে সেই কাজগুলি দ্রুত সম্পন্ন করাই লক্ষ্য সরকারের।