ফের চালু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ বাস পরিষেবা। বাসে ঢাকাগামী যাত্রীরা। বুধবার মারকুইস স্ট্রিটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বাংলাদেশে আটকে পড়া এ রাজ্যের বহু মানুষকে ফেরাতে সেই সমন্বয়ে আস্থা রাখল কেন্দ্র-রাজ্য। গত কয়েক দিনে বিশেষ কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাসিন্দাদের ফেরানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এই পর্বে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর পোর্টালটি।
নবান্ন সূত্রের খবর, অনেক মানুষ দেশে ফিরতে চেয়ে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। বার্তা পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ-পোর্টালে। আবার অনেকে সরাসরি রাজ্য সরকারকে ই-মেলে সেই বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের ফেরাতে তখনই পৃথক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আধিকারিক মহলের খবর, আবেদন পাওয়া মাত্রই তা পাঠানো হচ্ছে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে। সমান্তরালে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন এ রাজ্যের আমলারা। আবেদনকারী প্রতিটি মানুষ সে দেশ থেকে বেরোতে পারছেন কি না, খেয়াল রাখা হচ্ছে তা-ও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, প্রত্যেকটি ক্ষেত্র গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস।
এখনও পর্যন্ত অনেককে ফেরানো হয়েছে। আরও বেশ কিছু আর্জি নিয়ে কাজ করছে নবান্ন। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা এখন শতাধিক বলে দাবি নবান্নের একটি সূত্রের। নবান্নের এক কর্তার কথায়, “ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকেরা খুব সহযোগিতা করছেন। এই কারণে কাজটা সহজে হচ্ছে।”
সূত্রের দাবি, যাঁরা বাংলাদেশে গিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই পড়ুয়া। অনেকে গিয়েছেন ব্যবসার কাজে। আবার বেশ কিছু মানুষ গিয়েছেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও কিছু বিমান বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করছে। ফলে আশা করা যায়, বাসিন্দাদের ফেরাতে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না সরকারকে।