CBI

CBI: শীতলখুচিতে সিবিআই, তদন্ত অন্যান্য প্রান্তেও

শীতলখুচির নওদাবাসে ভোটের পরে মানিক মৈত্র নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গী মানিককে তৃণমূল ও বিজেপি, উভয়েই নিজেদের সদস্য বলে দাবি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শীতলখুচি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২১ ০৭:০২
Share:

ফাইল চিত্র

কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরছিল সিবিআইয়ের একাধিক দল। এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল পৌঁছল কোচবিহারের শীতলখুচিতে। ভোটের সময় থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা এই এলাকায় ভোটের পরেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সিবিআইয়ের ১২ সদস্যের একটি দল শীতলখুচি যায়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এ দিন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা গিয়েছেন।

Advertisement

শীতলখুচির নওদাবাসে ভোটের পরে মানিক মৈত্র নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গী মানিককে তৃণমূল ও বিজেপি, উভয়েই নিজেদের সদস্য বলে দাবি করেছে। এ দিন মানিকের বাবা রবি মৈত্রের সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। পরে তাঁরা যান চানঘাট এলাকায়। সেখানে একটি বাঁশঝাড় থেকে বিজেপি কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ বর্মণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ধীরেন্দ্রনাথকে। সিবিআই অফিসারেরা ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে পল্লবীর সঙ্গে কথা বলেন। পল্লবী বলেন, ‘‘গোড়া থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। এ বার আশা করছি, অপরাধীরা গ্রেফতার হবে।’’ ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলে সিবিআই।

চানঘাট থেকে সিবিআইয়ের দলটি দিনহাটায় যায়। এ দিনই কলকাতা থেকে দিনহাটায় ফিরেছেন একদা ফরওয়ার্ড ব্লক (ফব) এবং অধুনা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কুখ্যাত অপরাধীর তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। তিনি অবশ্য বলেন, “সিবিআই খুন ও ধর্ষণের মামলার ঘটনা নিয়েই তদন্ত করছি বলে জানি। এই ধরণের ঘটনা দিনহাটায় নেই।”

Advertisement

দক্ষিণবঙ্গেও সিবিআই এ দিন দিনভর তদন্তের কাজ চালিয়েছে। বাঁকুড়ায় ভোট-পরবর্তী সময়ে মৃত দুই বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাস ও কুশ ক্ষেত্রপালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলেন। কুশ যে হোটেলে কাজ করতেন, তার মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে সিবিআই।

বিজেপির কিসান মোর্চার নেতা কিশোর মান্ডি খুনের তদন্তে এ দিন সিবিআইয়ের এক আইজি-র নেতৃত্বে একটি দল জামবনি থানায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে। ৫ মে হামলায় জখম হয়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। ভাদুই গ্রামে কিশোরের বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।

সোমবার সিবিআইয়ের দল শান্তিনিকেতন থানা হয়ে কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উত্তর নারায়ণপুর এলাকায় যায়। সেখানে ভোটের সময় বিজেপিকে সমর্থন করায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পরিবারের দাবি, তৃণমূলের লোকজনই ঘটনায় অভিযুক্ত। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ দিন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের প্রায় ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বাড়ির বিভিন্ন জায়গার ছবি তোলা হয়। ফরেন্সিক দল বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। গত দু দিনের মতো এ দিনও বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের তদন্তে ইলামবাজারে গিয়েছিল সিবিআইয়ের দল।

এ দিকে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। পুলিশ সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে ভাতারের সেরুয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। মহিলার পরিবার মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানায়। কমিশনের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিটও জমা দেয়। সিবিআই ঘটনার বিষয়ে নতুন করে মামলা রুজু করেছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement