কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পাড়ায় সমাধান প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হল না কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার এক শিক্ষিকার মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ওই প্রকল্পের শিবির থেকে ৮৭ জন শিক্ষকের বদলি হয়েছে। তার পরেই প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার রাজ্য রিপোর্ট দিলেও তাতে সন্তষ্ট হননি তিনি। ফের রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারপতি। শিক্ষক বদলির ব্যাপারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এ দিন পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘পাড়ায় সমাধান কি সালিশি সভা? কারও বাড়িতে পরিচারিকা না এলেও কি এই শিবিরে সমাধান হয়? এ বার পাড়ায় সমাধান থেকে ডিভোর্সও হয়ে যাবে। কোর্টকে লাগবে না।’’ বিচারপতির প্রশ্ন, ২০২১র অগস্টে উৎসশ্রী প্রকল্প বন্ধ হওয়ার পরেও কী ভাবে বদলি হয়েছে? রাজ্যের কৌঁসুলি অবশ্য কোর্টে দাবি করেছেন, পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে বদলির কথা ঠিক নয়। এটি সরকারি প্রকল্প এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়। স্কুল সংক্রান্ত সমস্যা এলে তার সমাধান করা হয়।
পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের কোনও বিজ্ঞপ্তি আছে কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট উত্তর রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়নি। সরকারি কৌঁসুলি জানান, বিজ্ঞপ্তি আছে কি না, তা তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন। এ দিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, ২০২১ সালে ওই ঘটনা ঘটেছে। বদলি হয়েছে কি না তা জানানোর জন্য সময় চান তিনি।
উল্লেখ্য, পূজা মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকার মামলায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের শিবির থেকে বদলির অভিযোগ উঠেছে। পূজার অভিযোগ, তাঁর বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। তিনি চাকরি করেন মালদহে। একা শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকতে হয়। তিনি বদলি চাইলেও তা খারিজ করা হয়েছে অথচ পাড়ায় সমাধান থেকে ৮৭ জনকে বদলি করা হয়েছে।