বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং কেয়া ঘোয। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। আসানসোল লোকসভায় অগ্নিমিত্রা পাল এবং বালিগঞ্জ বিধানসভায় কেয়া ঘোষকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। অগ্নিমিত্রা এখন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক রয়েছেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করল দল।
বিজেপি সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে পরিচিত মুখকে দাঁড় করাতে চেয়েছিল দল। কিন্তু প্রথমে যাঁদের নাম ভাবা হয়েছিল তাঁরা রাজি হননি। চেনা মুখের মধ্যে এই দু’জনের জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই তাঁদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে অগ্নিমিত্রা আসানসোল দক্ষিণ থেকে জিতেছিলেন। এ বার বাবুল সুপ্রিয়র ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকেই প্রার্থী করল বিজেপি। এখন তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিন্হা।
লোকসভার প্রার্থী হওয়ার পর অগ্নিমিত্রা বলেন,“শত্রুঘ্ন সিন্হা বহিরাগত। তিনি এখানকার সংস্কৃতি বোঝেন না। ভৌগোলিক অবস্থানও বোঝেন না। এই শহরের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই তাঁর। এখানে বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হবেন। বিহারীবাবুর খামোশ ডায়লগ সিনেমার জন্য ভাল, কিন্তু আসানসোলের মানুষ খামোশ থাকবেন না। পুরভোটে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এর জবাব লোকসভায় দেবেন তাঁরা।”
বিজেপি-র মহিলা মোর্চার কমিটির সদস্য কেয়া। আবার রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্রের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। ফলে দলের মধ্যে সকল স্তরেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই বাবুলের বিরুদ্ধে কেয়াকে দাঁড় করাল বিজেপি। প্রার্থী হওয়ার পরই আনন্দবাজার অনলাইনকে কেয়া বলেন, ‘‘প্রার্থী হব ভাবিনি। দল যোগ্য মনে করেছে তাই করেছে। তৃণমূল প্রার্থীকে আমি প্রতিপক্ষ মনে করি না। তিনি তো জামা পরিবর্তনের মতো দল পরিবর্তন করেন। মানুষ তাঁকে ভরসা করবে না। আমি জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।’’