দৈনিক ভাস্করে আয়কর হানা নিয়ে সরব মমতা।
কর ফাঁকির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সংবাদপত্র ‘দৈনিক ভাস্কর’-এর অফিসে আয়কর দফতরের হানা নিয়ে এ বার সরব তৃণমূল। যারা সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরছে, তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে মোদী সরকার, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটারে লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার টুইট, ‘সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমগুলির উপর আক্রমণ করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।’
পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ওই কাণ্ডে দেশের ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’। সাংবাদিকদের উপর নজরদারির ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগের তির স্বাভাবিক ভাবেই মোদীর সরকারের দিকে। সেই আবহেই দৈনিক ভাস্করের একাধিক অফিসে আয়কর হানা দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এল।
প্রসঙ্গত, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে দেশ জুড়ে যে চূড়ান্ত অব্যবস্থা প্রকাশ্যে এসেছিল, তা নিয়ে লাগাতার লেখালেখি চলেছিল দৈনিক ভাস্করে। সরকারি তরফে সে সময়ে যা যা দাবি করা হয়েছিল, সেই সব দাবিকে খণ্ডন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল এই সংবাদপত্র। তার জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। মমতার টুইটেও উঠে এসেছে ওই প্রসঙ্গ। তিনি লেখেন, ‘অতিমারি পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতাই তুলে ধরেছিল দৈনিক ভাস্কর। যারা সত্য তুলে ধরছে, তাদের মুখ বন্ধ করার এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি।’
মিডিয়ার উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন তাঁদের বলব, আপনারা শক্ত থাকুন। আমরা একসঙ্গে থাকলে স্বৈরাচারি শক্তি কোনও দিনই জিততে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তিনি টুইটে লেখেন, ‘মোদী-শাহ যে ভয় পেয়েছেন, তার আরও একটি প্রমাণ। যে সব সংবাদমাধ্যমের মেরুদণ্ড রয়েছে, তারা শক্ত থাকুক।’