ফাইল চিত্র।
পুজোর পর তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই মৌখিক আশ্বাসে ন্যূনতম পারিশ্রমিকে দুর্গা প্রতিমা গড়ে তুলে দিয়েছিলেন কলকাতার বরিষা ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে। ভেবেছিলেন, প্রতিমাটি কোথাও বিক্রি করে আরও কিছু টাকার সংস্থান হবে। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকের আদলে গড়া সেই প্রতিমা ‘পরিযায়ী উমা’ এত সাড়া ফেলে এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেটি দেখে এতই খুশি হন যে রাজ্য সরকার সেটি সংরক্ষণের জন্য নিয়েছে। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সেই মৃৎশিল্পী পল্লব ভৌমিক।
কলকাতার সরকারি চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পল্লব বলেন, “প্রতিমাটি মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হয়েছে, তিনি সেটি সংরক্ষণ করতে চান, এতে অমি গর্বিত। কিন্তু আমি ভেবে রেখেছিলাম, ফাইভার গ্লাস দিয়ে তৈরি প্রতিমাটি পরে বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করব। প্রতিমা বাবদ যা টাকা পেয়েছিলাম তা উপকরণ কিনতে আর কারিগরদের পারিশ্রমিক দিতেই খরচ হয়ে গিয়েছে। আমার আর কিছু থাকল না।”
রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় যে সৌন্দর্যায়নের কাজ করে সেখানে কিছু শিল্পকর্মের বরাত পেলেও তাঁর কিছুটা সুরাহা হয় বলে তিনি আবেদনে জানিয়েছেন। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।