কারখানায় কাজ দেখছেন লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত জিন ক্লড কুগেনার। নিজস্ব চিত্র
যৌথ উদ্যোগে সংস্থা চালুর পরে শেষ তিনটি অর্থবর্ষে প্রায় ২৫ শতাংশ আয়বৃদ্ধি। শুক্রবার খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে সেই সংস্থার দু’টি প্রকল্প ঘুরে দেখে প্রশংসা করলেন লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত!
২০১৫ সাল থেকে লুক্সেমবার্গের একটি টেক্সটাইল সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পথচলা শুরু করে দেশীয় একটি সংস্থা। খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে রয়েছে সেই সংস্থার মূল কারখানা। ব্যাটারি তৈরিতে কাজে লাগে ‘প্লুরি টুবুলার’(পিটি) ব্যাগ। খড়্গপুরের সংস্থাটি সেই ‘পিটি’ ব্যাগ সরবরাহ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাটারি সংস্থাকে। এ ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম সংস্থায় ব্যবহৃত তাপ প্রতিরোধক ফাইবার গ্লাসের বুননে তৈরি চাদর বানানোরও একটি কারখানা রয়েছে ওই সংস্থার। যৌথ উদ্যোগ হলেও সংস্থাটি একেবারে দেশীয় প্রযুক্তির যন্ত্র ব্যবহার করে উৎপাদন করছে পিটি এবং ফাইবার গ্লাসের বুননে তৈরি চাদর। এ দিন খড়্গপুরে ওই সংস্থা পরিদর্শনে এসেছিলেন লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত জিন ক্লড কুগেনার। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের সংস্থার অন্যতম ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুকুমার রায়। কীভাবে সংস্থার দু’টি প্রকল্পের কর্মীরা কাজ করছেন তা খুঁটিয়ে দেখেন জিন ক্লড কুগেনার। কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গেও। পরে কারখানার পক্ষ থেকে গোটা কর্মকাণ্ডের একটি ‘ভিস্যুয়াল’ উপস্থাপনা দেখানো হয়।
লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে লুক্সেমবার্গের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চলা এই কারখানা পরিদর্শন করে আমি আপ্লুত। কারখানা খুব ভাল চলছে। কর্মীরাও খুব ভাল কাজ করছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই কারখানার উৎপাদিত সামগ্রী রফতানি হচ্ছে। আশা করছি, আগামীদিনে আরও উন্নতি করবে।” কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুকুমার বলেন, “আমরা খুব শীঘ্র বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে সম্প্রসারিত প্রকল্প চালু করব। স্বচ্ছভাবে ব্যবসা ও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা আমাদের সম্পদ। কর্মীদের চাহিদার কথা আমার কানে আসার আগেই আমরা তাদের চাহিদা পূরণ করি। এর জন্য এই কারখানা চালাতে কোনও সমস্যা হয় না।”
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে এই সংস্থা প্রায় ১০০কোটি টাকার উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করেছিল। সেখানে চলতি অর্থবর্ষের প্রায় শেষলগ্নে দেখা যাচ্ছে সংস্থাটি প্রায় ১৫৫কোটি টাকার বিক্রি করেছে।
কারখানার চিফ ফিনান্স কন্ট্রোলার অমরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারখানা চালু হওয়ার পর থেকেই আর্থিক উন্নতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি, দিনে দিনে বিক্রি বাড়ার সঙ্গে আয়ও বাড়ছে। সবমিলিয়ে অর্থবর্ষে প্রায় ২৫ শতাংশ আয়বৃদ্ধি হচ্ছে। এটা আয়বৃদ্ধি আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।”