মামলাটির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শিক্ষকের চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ফোন এসেছিল এক টেট পরীক্ষার্থীর কাছে। তবে সেই ফোনে তাঁকে চাকরি পাওয়ার কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন এক টেট পরীক্ষার্থী। যা শুনেই অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর নাম শিল্পা চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, কোথা থেকে ওই ফোন এসেছিল, তা তিনি নিজে খতিয়ে দেখেননি। তবে যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘‘পর্ষদের অফিস থেকে বলছি।’’ শিল্পার আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, ফোনটি এসেছিল ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। ফোনে ওই ছাত্রীকে বলা হয়েছিল, ‘‘আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।’’ শিল্পার আইনজীবী জানিয়েছেন, যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি, কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তিনি। কারণ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক শিক্ষা পর্ষদ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি মধ্য শিক্ষা পর্ষদও রয়েছে। তবে অনুমান যে হেতু পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাই ওই রহস্যময় ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলে থাকবেন। তবে পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন, টেট সংক্রান্ত মামলাকারী রমেশ মালিক এবং ওই পরীক্ষার্থী শিল্পার আইনজীবী। অভিযোগ শুনেই মামলাটির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে, কবে, কোথা থেকে, কে ওই ফোন করেছিলেন। এমনকি, ওই ফোনের কল রেকর্ডিংও সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।