ইডি দফতর থেকে বেরোচ্ছেন মানিক। নিজস্ব চিত্র।
দফায় দফায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর টেট-দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতর থেকে বুধবার গভীর রাতে গোপনে বেরিয়ে গেলেন।
ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাত সওয়া ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব শেষ হওয়ার পরে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান। ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হতে পারে।
টেট-কাণ্ডে অভিযুক্ত মানিককে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সকাল পৌনে ১০টাতেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (অধুনা শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি-সহ যে ১৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি, তার মধ্যে ছিল মানিকের বাড়িও।
সূত্রের দাবি, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিকের বাড়িতে ১৭ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেন ইডির আধিকারিকেরা। সেই সূত্রেই বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে মানিককে তলব করা হয়েছিল। এর আগে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মানিককে নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব আদালতে জমা দিতে হয়েছিল।
এ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে যখন ইডির জেরার মুখে পড়ছেন মানিক, সেই সময়ই পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দিনের শেষে যে ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা গোনা সম্ভব হয়েছে। সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া কয়েক কোটি টাকার সোনার বাট এবং রৌপ্যমুদ্রাও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু দলিল। থরে থরে টাকা ও সোনার বাটের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে শুক্রবার টালিগঞ্জে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি।