প্রতীকী ছবি।
প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। তার জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিয়ে দিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পাল্টা মামলায় সেটা আটকে আছে। তবে তার জন্য ‘টিচার এবিলিটি টেস্ট’ বা টেটে বসা প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে বসা আটকাচ্ছে না। ছ’নম্বর বাড়লেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ে বসার যোগ্যতা অর্জন করবেন। এই অবস্থায় তাঁদের শিক্ষকপদে ওই ইন্টারভিউয়ে বসতে দিতে হবে বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নম্বর নিয়ে যে-সব প্রার্থী মামলা করেছেন, আপাতত তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন। তবে হাইকোর্টের এ দিনের নির্দেশের পরে ছ’নম্বরের জন্য ইন্টারভিউয়ে ডাক না-পাওয়া অন্য প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তাঁরা আবেদন করলে তখন তাঁদেরও ইন্টারভিউয়ে বসতে দিতে হবে। সব মিলিয়ে এই ধরনের কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি।
টেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠছিল। তা নিয়ে মামলা হয়েছে একাধিক। ব্যাপক টালবাহানার পরে সম্প্রতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। তার পরেই প্রশ্ন-বিভ্রাটে আটকে থাকা এক দল প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই সময়েও বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ওই প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দিতে বলেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, শুনানিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, ওই সব কর্মপ্রার্থীর সঙ্গে ‘অবিচার’ হয়েছে।
প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় পরীক্ষার্থীকে সেই সব প্রশ্নের নম্বর দিতে হবে, প্রথমে এমনই রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোয় মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। ওই মামলার নিষ্পত্তির আগেই সব আবেদনকারীকে ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দিতে হবে বলে এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সচিবকে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তাঁর নির্দেশ, আজ, বুধবার অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা শেষ হলেও মামলাকারীরা ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
২০১৪ সালে রাজ্যে প্রাথমিক টেট হয়েছিল। তাতে তিনটি প্রশ্নে ভুল ছিল। কয়েক জন পরীক্ষার্থী তার সুরাহা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই দেখা যায়, তিনটি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। যে-সব পরীক্ষার্থী ওই তিন প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন বা লেখার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তা নিয়ে পাল্টা মামলাটি এখনও চলছে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত সেনগুপ্ত এ দিন আদালতে জানান, তাঁদের মক্কেলরা আরটিআই করে খাতা দেখেছেন, ওই নম্বর পেলে তাঁরা টেট পাশ করবেন। যে-হেতু মামলাটি এখনও বিচারাধীন, তাই তাঁদের মক্কেলদের ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হোক।