বিভাসচন্দ্র অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় তাঁকে যে আবার সিবিআই তলব করেছে, সে খবর আগেই জানা গিয়েছে। কিন্তু তা নিশ্চিত করেননি বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাসচন্দ্র অধিকারী। বুধবার দুপুরে প্রায় সবার অগোচরে কলকাতার সিবিআই দফতরে আসেন এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিভাস। বিকেলে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সিবিআইয়ের একটি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের প্রয়োজনে বিভাসের কাছে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তিনি মঙ্গলবার সেই সব তথ্য নিয়ে হাজির হন। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভাসকে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখে প্রথম উঠে আসে বীরভূমের বিভাসের নাম। বস্তুত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে বিভাসের নাম পান তদন্তকারীরা। এক সময় বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন নলহাটির ওই বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত তিনি। বিভাস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘পুরনো চরিত্র’। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিভাসের আশ্রমের জমিজমা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য এবং নথি নিয়েছে সিবিআই বলে খবর।
বস্তুত, নিয়োগ মামলার তদন্তের প্রথম দিকে বিভাসের নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার শিয়ালদহের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে ডিএলএড এবং বিএড কলেজ রয়েছে বিভাসের। এক সময় নলহাটি-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বিভাস গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার পরই ওই দল ছেড়ে দেন। তার পর ‘অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভা’ নামে একটি নতুন দল তৈরি করেন।