নিজেদের বক্তব্যের সারাংশ পেশ করেছেন তিন প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের কৌঁসুলিরা। কিন্তু ওই তিন অফিসার ২১ জুলাই কমিশনে সাক্ষ্য দিতে যাবেন কি না, সোমবারেও কলকাতা হাইকোর্টে তার নিষ্পত্তি হল না।
ওই কমিশনে সাক্ষ্যদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রাক্তন তিন পুলিশ অফিসার। মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকার, ২১ জুলাই কমিশন ও তিন আইপিএস অফিসারের আইনজীবীরা আদালতে যে-বক্তব্য পেশ করেছেন, তার সংক্ষিপ্তসার পেশ করার জন্য এ দিন নির্দেশ দেয় বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২১ জুলাই কমিশন এবং ওই তিন পুলিশ অফিসারের পক্ষ থেকে সেই বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসার পেশ করা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের বক্তব্য পেশ করেনি।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। দীনেশ বাজপেয়ী, নওলকিশোর সিংহ এবং রাজকুমার জহুরি নামে ওই তিন পুলিশ অফিসার তখন কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে ২১ জুলাই কমিশন তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনাচক্রে এ দিনই ধর্মতলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মৃতিতে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল।
ডিভিশন বেঞ্চে তিন পুলিশ অফিসারের আইনজীবীরা জানান, কমিশনকে আগে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বা প্রত্যক্ষদর্শী সকলের সাক্ষ্য নিতে হবে। তার পরে ওই তিন অফিসার কমিশনে সাক্ষ্য দিতে যেতে পারেন।
ওই তিন অফিসার প্রথমে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে। বিচারপতি দত্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন, সাত দিনের মধ্যে ওই তিন অফিসারকে কমিশনে সাক্ষ্য দিতে যেতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন তিন অফিসার।
কমিশন সূত্রের খবর, তিন আইপিএস অফিসারকে আদৌ সাক্ষ্য দিতে হবে কি না অথবা শর্তসাপেক্ষে সাক্ষ্য দিতে হবে কি না, সেই ব্যাপারে শীঘ্রই রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ।