—প্রতীকী ছবি।
এ রাজ্যে তিনটি মডিউল তৈরি করেছিল আবু তালহা। কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়াতে ওই তিনটি মডিউলের এগারো জন ধরা পড়েছে। এ রাজ্যের যুবকদের ‘মগজ ধোলাই’ করে জঙ্গি দলে নিয়োগ করাই ছিল এই সব মডিউলের কাজ।
গোয়েন্দাদের দাবি, লকডাউনের প্রথম পর্বে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে সংগঠনের কাজ শুরু করে সে। এ রাজ্যে প্রায় দেড় বছর ছিল। কিছু দিন হাওড়ার বাঁকড়ায়। কোচবিহারের দিনহাটা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গাতেও থেকেছে। কোচবিহারের সিংহীমারির মদনকুরায় থাকাকালীন সে ভারতীয় ভোটার ও আধার কার্ড বানায়। সেখানকার বাসিন্দা ফারিয়া আফরিন আনিকাকে বিয়ে করে তালহা।
সম্প্রতি বাংলাদেশে পুলিশের হাতে তালহা ধরা পড়ার পরে এই সব তথ্য কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে এসেছে। মূলত কলকাতা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকার সবুজবাগ থেকে গ্রেফতার করেছে তালহাকে। তার সঙ্গে ধরা পড়েছেন স্ত্রী ফারিয়া। ফারিয়ার বাবাকে গত এপ্রিলে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’-এর মাথা ছিল তালহা ওরফে ইকরামুল হক। এ রাজ্যে তালহার ডান হাত বলে পরিচিত আবদুল রাকিব সর্দারও ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ব্লগার খুনের পরে বাংলাদেশ পুলিশের তাড়া খেয়ে ২০১৮ সালে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তালহা ভারতে ঢোকে। প্রথমে যায় উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে। সেখানে ধর্মীয় স্থানে থাকাকালীন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, তালহার সঙ্গে আরও তিন ধর্মীয় নেতা কোচবিহারে আশ্রয় নেয়। তাদের খোঁজ চলছে।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মডিউল তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। গত বছর মধ্যপ্রদেশ পুলিশ প্রথম ওই মডিউলের সন্ধান পায়। নানা রাজ্যে ধরপাকড় শুরু হয়। তখন তালহা পশ্চিমবঙ্গে। ধরপাকড়ের খবর পেয়ে অসম হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় সে। সঙ্গে নিয়ে যায় ফারিয়াকেও। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে ফিরে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে এ রাজ্যে জঙ্গিদের নির্দেশ পাঠাচ্ছিল তালহা।