অশান্তির আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। —ফাইল চিত্র।
এক জিএনএলএফ সমর্থকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পাহা়ড়। শনিবার সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে কয়েকশো জিএনএলএফ কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জিনএনএলএফ সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন মোর্চা সমর্থকরাও। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। মোর্চা সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। চকবাজারে মোর্চা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল সে সময় গুলি চলার খবর পাওয়া যায়। পুলিশের গুলিতে এক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে মোর্চা। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
শনিবার জিএনএলএফ-এর কয়েকশো সমর্থক তাশির মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করে সোনাদা থেকে দার্জিলিং যাচ্ছিল। তখন পুলিশ মিছিলটি আটকানোর চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে জিএনএলএফ ইট, পাথর ছোড়ে। সোনাদা থানায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় জিএনএলএফ সমর্থরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দার্জিলিঙের খাদ্য সরবরাহ দফতর এবং ডিএসপি-র টাউন অফিস। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দার্জিলিং ও সোনাদায় দু’কলাম সেনা নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বসিরহাট থেকে পাহাড়, অশান্তির জন্য বিজেপির দিকে আঙুল মমতার
মৃত জিএনএলএফ সমর্থক তাশি।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ সোনাদার কাছে কয়েক জন দার্জিলিংগামী গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। জিএনএলএফ মুখপাত্র নীরজ জিম্বার অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় তাশির। মৃতের পরিবারের দাবি, গত রাতে তাশি ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তাশির পরিবারের পক্ষ থেকে সোনাদা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে তাদের গুলিতেই তাশির মৃত্যু হয়েছে, এ কথা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব চিত্র।