প্রতীকী ছবি।
ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়াতে রাজ্যের ছ’টি স্টেশনের জমিতে বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে রেল। এ জন্য ওই স্টেশনের জমি ৪৫ বছরের জন্য লিজে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রেল। সিউড়ি, বালুরঘাট, মালদহ টাউন, মাদারিহাট, দুর্গাপুর এবং কাঁচরাপাড়া স্টেশনের জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ওই সব স্টেশনে ‘মাল্টি ফাংশনাল কমপ্লেক্স’ তৈরি করতে চায় রেল। সেখানে এটিএম, সস্তার (বাজেট) হোটেল, রেস্তরাঁ, বিভিন্ন দোকান ও পার্কিং লট তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আরএলডিএ) ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে। ওই সব বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে যাতে বেশি মানুষ আসতে আগ্রহী হন তাই স্টেশনগুলিতে যাতায়াতের পথের কাছে ওই নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৬টি স্টেশন মিলে ৮ হাজার বর্গমিটারের বেশি জমিতে প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে আরএলডিএ। এর জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছে রেল।
পরিকল্পনাকারী সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ দুদেজা বলেন, ‘‘স্টেশন চত্বরে বেশি মানুষ যাতে আসতে আগ্রহী হন তা নিশ্চিত করতেই এক ছাদের তলায় নানাবিধ উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’
দেশের ৫২টি স্টেশনে এমন কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে রেল। এর মধ্যে ১৩টি কমপ্লেক্স হয়ে গিয়েছে। রেলের হাতে দেশে প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর খালি জমি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ওই সব জমি লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তেমন সাফল্য আসেনি। বেশ কিছু স্টেশনের অব্যবহৃত জমিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও নিয়েছে রেল। হাওড়া-সহ কয়েকটি বড় স্টেশন লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা হলেও পরিকাঠামোগত অসুবিধেয় বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। রাজ্যের যে ৬টি স্টেশনের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার বর্গ মিটারের বেশি জায়গা নিয়ে কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে কাঁচরাপাড়া এবং দুর্গাপুরে। সিউড়ি এবং বালুরঘাটে ৫০০ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মালদহে প্রায় ১২০০ বর্গ মিটার এবং মাদারিহাটে ২৫০ বর্গ মিটার জুড়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।