ঠান্ডায় জবুথবু কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। ছবি: শাটারস্টক।
কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ছিল এই মরসুমের শীতলতম দিন। শহরের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছিল। রবিবার তাপমাত্রা সামান্য উঠলেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য জুড়ে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে বর্ষশেষের দিনে ভালই ঠান্ডা মালুম হবে রাজ্যবাসীর। দার্জিলিঙে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি। আসানসোলে তাপমাত্রার পারদ নেমে দাঁড়িয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বাংলায় ঢুকতে বাধা পাবে উত্তর ভারত থেকে ধেয়ে আসা ঠান্ডা হওয়া। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী জোলো হাওয়া) ফের রাজ্যের দিকে বয়ে আসছে। তার সঙ্গে সাগরের জোলো হাওয়ার মিশ্রণে ২-৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলোতে।
আরও পড়ুন: কুয়াশায় বিপর্যস্ত দিল্লি, ব্যাহত বিমান-ট্রেন চলাচল, গাড়ি খালে পড়ে মৃত ৬
দিন কয়েক আগেই হালকা বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হওয়ার কারণে তেমন জাঁকিয়ে ঠান্ডাটা পড়ছিল না। কিন্তু মেঘ সরতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর ভারত থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বাধাহীন ভাবে রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে। ফলে এক ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। দার্জিলিং, কালিম্পঙে বরফ পড়ে।