ময়দানে পর্যটকদের ভিড়। ছবি: শাটারস্টক
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নেই, কিন্তু বড়দিনে রাজ্য জুড়ে বজায় রয়েছে শীতের দাপট। আর তাতে ছুটির মজা যেন বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার মাঝ রাত থেকে জিশুর জন্মদিন পালনের যে উৎসব শুরু হয়েছে বুধবার সকালে আরও বিপুল উৎসাহে সেই উৎসবে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই ধরা পড়েছে এই উৎসব মুখর ছবিটাই।
পৌষের শুরু থেকেই পারদ পতন, আর তার জেরে কনকনে ঠান্ডায় থরহরি কম্পমান ছিল পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ঘোরাফেরা করছিল ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। শীতের সেই কামড় কিছুটা কমেছে। বুধবার আবহাওয়া দফতর অবশ্য জানিয়েছে, এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। একই সঙ্গে কমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। তিন ডিগ্রি কমে তা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ (-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি।
এ দিন সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছে। তবে, কিছু জায়গায় কুয়াশার দাপটও ছিল। বেলা গড়াতেই অবশ্য সরে যায় কুয়াশার চাদর। ঠান্ডার দাপট আছে, তবে কামড় নেই। আবার রোদও আছে। তাই বড়দিনের ছুটির আনন্দ যেন বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই শহরে ভিড় ছিল। সকাল হতেই তা যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া,পার্ক স্ট্রিট চিড়িয়াখানা, ময়দান ক্রমশ ভরে উঠেছে মানুষে মানুষে। ভি়ড জমিয়েছেন বিদেশি পর্যটকরাও। উৎসবের মরসুমে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে কড়া নজর রয়েছে কলকাতা পুলিশের।
আরও পড়ুন: বিতর্ক উস্কে এনপিআর খাতে টাকা, এনআরসি-র শুরু, বলছেন বিরোধীরা
আরও পড়ুন: লুকিয়ে হবে না এনআরসি, বললেন শাহ
বড়দিনে জেলার ছবিটাও উৎসব মুখর। মফসসলের চার্চগুলিতে এ দিন ভিড় জমান বহু মানুষ। দার্জিলিং, কালিম্পং, সান্দাকফু থেকে শুরু করে মন্দারমণি, দিঘা বা সুন্দরবন সর্বত্রই ভিড় ভিড় জমিয়েছেন বহু পর্যটক।