প্রতীকী ছবি।
স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ জেলা হাসপাতালেই স্নায়ুরোগ (নিউরোমেডিসিন) বিভাগ নেই। সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি রাজ্যে সব রোগের টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’-এ স্ট্রোক আক্রান্তের পরিষেবাও জুড়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এই পাইলট প্রজেক্টে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-কে (বিআইএন) প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র (হাব) করা হয়েছে। শাখা কেন্দ্র রয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল এবং ইমামবাড়া, বসিরহাট, বিষ্ণুপুর, সিউড়ি, আসানসোল, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, বারাসত জেলা হাসপাতাল।
এই প্রকল্পে পরিষেবা প্রদান শুরু হয়েছে বলে খবর। স্ট্রোকে আক্রান্তের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট আপলোড করা হবে ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ পোর্টালে। শাখা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারেরা পোর্টালে লগ-ইন করে বিআইএনের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানবেন, মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত ভাঙতে কোন ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
প্রতিটি জেলায় এক জন নোডাল অফিসার ও প্রতি হাসপাতাল থেকে দু’জন করে মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন প্রজেক্টে। সম্প্রতি তাঁদের এবং সিটি স্ক্যান টেকনিশিয়ানদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ছিলেন বিআইএনের চিকিৎসকেরাও। এই পরিষেবার জন্য হাসপাতালে উন্নত মানের ইন্টারনেট সংযোগ-সহ একটি ঘর নির্দিষ্ট থাকবে।
মেডিক্যাল অফিসার ও সিটি স্ক্যান টেকশিয়ানদের নম্বর পরস্পরকে রাখতে হবে। ওষুধ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোয় নজর রাখবেন নোডাল অফিসার। পোর্টালে লগ-ইন করে বিআইএনে যোগাযোগের সময়ে সমস্যা হলে নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানাবেন মেডিক্যাল অফিসার। স্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআইএনের চিকিৎসক বিমানকান্তি রায় বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থাপনায় বিআইএনের বরিষ্ঠ চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর পরিজনদের কথা বলার ব্যবস্থা শুরুর পরিকল্পনাও রয়েছে।’’
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গুণগত মান বজায় রেখে বেশি রোগীকে কী ভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। পরিষেবার সব ধাপ সকলকে বোঝানো হয়েছে।’’