ফাইল চিত্র।
ঝড় কাদের প্রাণ কেড়েছিল জানা গেল না এক বছরের পরেও। নিখোঁজদের দাঁত, পোশাক এখনও নথি হিসেবে রয়ে গিয়েছে পুলিশের কাছে। শুধু শনাক্ত করা গেল না ওই মৃতদেহগুলির পরিচয়।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় আমপান আছড়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সেই স্মৃতি রাজ্যবাসীর এখনও টাটকা। ওই ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতা। শুধু কলকাতাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯ জন। প্রথমে তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করা যায়নি। পরে একজন রাজ্য সরকারের কর্মীর দেহ শনাক্ত করা যায়। ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ভবানীপুর ক্যালকাটা ক্লাবের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল। বাকিদের মধ্যে গিরিশ পার্কের ২ জন এবং ভবানীপুরের ১ জন ছিলেন। সেই ঘটনার বছর ঘুরলেও বাকি ৩ জনের হদিস পাওয়া যায়নি। অজানাই থেকে গিয়েছে তাঁদের পরিচয়।
পুলিশ অবশ্য অজ্ঞাতপরিচয়দের খোঁজার একাধিক ব্যবস্থা করেছিল। ময়নাতদন্তের পরও মৃত দেহগুলি ১৫ দিন রাখা হয়েছিল। অবশেষে খোঁজ না পেয়ে সৎকার করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে শনাক্তকরণের জন্য ওই মৃতদেহগুলির ছবি, দাঁত ও পোশাক রেখে দেওয়া হয়। এতদিন কেটে গেলেও ওই ব্যক্তিদের খবর নিতে আসেনি কেউই। ফলে এখন অবধি উত্তর পাওয়া গেল না কাদের প্রাণ কেড়েছিল ওই দানব ঘূর্ণিঝড়।
গত বছরের আমপানের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি বঙ্গবাসী। পূরণ হয়নি ক্ষয়ক্ষতিরও। তারই মধ্যে ফের এ বছর বাংলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের খবর, ২৬ মে অর্থাৎ আগামী বুধবার সকালের দিকেই ঘূর্ণিঝড় 'যশ' আছড়ে পড়বে বাংলায়।