গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (জি-নিট) এ বছর রোবোটিকস-এ বিটেক কোর্স চালু করেছে। ছবি:জিনিট
যদি সময় বদলাতে থাকে, তা হলে সময় এসেছে বদলের-- এটাই, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (GNIT, বা জি-নিট) আদর্শ। কোভিড-১৯ অতিমারির অনেক আগেই যারা ডিজিটাল শিক্ষাকে আয়ত্ত ও আত্মস্থ করে নিয়েছে।
ন্যাক-স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়টি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক, বা ইনফরমেশন টেকনোলজিতে বি টেক-- এই জাতীয় কোর্স পড়ার সময়ই, ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়। এটি ভারতের সেই অল্পসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম, যেখানে ফুড টেকনোলজিতে বিশেষ বি-টেক কোর্স ও হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে তিন বছরের বিবিএ প্রোগ্রাম পড়ানো হয়।
জিনিট-এর অধ্যক্ষ শান্তনু কুমার সেন জানালেন, “আমরা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম, ভবিষ্যৎ পৃথিবী পুরোপুরি ডিজিটাল হতে চলেছে। সেই কারণেই গত তিন বছর ধরে আমরা প্রক্টর-এর সহায়তায় আমাদের সব রকম পরীক্ষা অনলাইন নেওয়ার ব্যবস্থা করি। যখন এই অতিমারি সবাইকে অনলাইন ক্লাসের পরিকাঠামোয় যোগ দিতে বাধ্য করল, তত দিনে আমাদের ছাত্র ও শিক্ষকরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সড়গড় হয়ে গিয়েছে, আমাদের পরিকাঠামোও তৈরি হয়ে গিয়েছে।”
এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০০ আসনকে, ১১টি কোর্সের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্টার্নশালা সংস্থার সঙ্গে কলেজের চুক্তি রয়েছে। অতিমারির সময়ে ১৩০০-র বেশি ছাত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপে যোগ দিয়েছে।
প্রথম বছর থেকেই কলেজটি, ছাত্রদের চাকরি-উপযোগী হয়ে ওঠার শিক্ষা দেয়। কলেজের প্লেসমেন্ট সেল, পাইথন থেকে মেশিন লার্নিং-- এমন বিভিন্ন বিষয়ে স্কিল ট্রেনিং দেয়। জি-নিট ১১টি স্কলারশিপ দেয়। প্রায় ৬০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এই স্কলারশিপ গ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এটি অন্যতম, যা এএমপিএআই (AMPAI) পরীক্ষার মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের অ্যাডমিশনের সুযোগ দেয়।
বিশ্বমানের শিক্ষাদানের পদ্ধতির সঙ্গে তাল মেলাতে, হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। পড়ুয়ারা ইচ্ছে করলে একটি সিমেস্টার রাশিয়ার কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে।
ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন অ্যাডমিশনের জন্য gnit.ac.in লিঙ্কটি দেখতে পারে এবং তাদের যাবতীয় প্রশ্ন পাঠাতে পারে জি-নিট অ্যাসিস্ট্যান্টকে।