প্রতীকী ছবি।
চলতি বছর সরস্বতী পুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের নিজ জেলায় বদলি প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অভিযোগ, সেই ঘোষণার পরে কয়েক মাস কেটে গেলেও বদলি নিয়ে কোনও সরকারি আদেশনামা বেরোয়নি।
অথচ শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনগুলির মতে, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলে পঠনপাঠন যখন বন্ধ, তখন এই বদলি প্রক্রিয়া চালু থাকলে সুবিধা হত। স্কুল খুললে অনেক শিক্ষক নিজ জেলা থেকেই স্কুল করার সুযোগ পেতেন।
সম্প্রতি কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন নিজ জেলায় শিক্ষকদের বদলি নিয়ে ফের আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার জানান, তাদের সংগঠন এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। নববাবুর দাবি, ধাপে ধাপে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হোক। প্রথমে শিক্ষিকাদের নিজ জেলায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা হোক। অনেক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষক বাড়ি থেকে দূরের স্কুলে যান। তাঁদের নিজ জেলায় নিয়ে আসা হোক। যে সব স্বামী-স্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন জেলার স্কুলে আছেন, তাঁদের এক জেলায় আনার ব্যবস্থা হোক। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের বদলিতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
যদিও প্রশ্ন, এ ক্ষেত্রে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকের অভাব দেখা দেবে না তো? কারণ যে সব শিক্ষক বাড়ি থেকে দূরে কোনও গ্রামে শিক্ষকতা করেন, তাঁরা বাড়ির কাছে চলে এলে গ্রামের স্কুলে শিক্ষক কমতে পারে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের মতে, প্রাথমিক ভাবে সমস্যা দেখা দিলেও এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ যদি চলতে থাকে, অসুবিধার কথা নয়। নতুন নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রাথমিক ভাবে গ্রামে বদলি করে কয়েক বছর পর তাঁকে নিজের জেলায় নিয়ে আসা যেতে পারে। অনিমেষবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরে তৎপরতা শুরু হলেও এখন থমকে। আপস বদলি ও সাধারণ বদলির আরও সরলীকরণ হওয়া জরুরি।”
কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কাজ চলছে। তা হলে কেন নিজ জেলায় স্কুলশিক্ষকদের বদলির বিষয়ে তৎপর হচ্ছে না রাজ্য? যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। প্রশাসনিক ভাবে কাজ এগোচ্ছে।”