ফাইল চিত্র।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠছে বিভিন্ন স্তরে। এ বার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি পড়ুয়াদের করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে দ্রুত স্কুল খোলা হোক। এই দাবিতে আজ, মঙ্গলবার বিকাশ ভবন অভিযান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি নামে একটি সংগঠন। ওই সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েত করে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। স্কুল খুলে অন্তত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন কিছুটা এগিয়ে নেওয়া যেতেই পারে।’’
পড়ুয়াদের টিকা দিয়ে স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছে এআইডিএসও বা অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনও। তাদের তরফে প্রভাশিস দাস জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে ফলাফল-বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে এবং ১২ থেকে ১৭ বছরের ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দিয়ে অফলাইন পঠনপাঠন চালু-সহ নানা দাবিতে রাজ্যের প্রায় ১০০টি জায়গায় সোমবার প্রতীকী অবরোধ করা হয়। কলেজ স্ট্রিট চত্বরে এই নিয়ে গোলমাল বাধে পুলিশের সঙ্গে। রাজ্য জুড়ে অবরোধে গ্রেফতার হন শতাধিক ছাত্র-কর্মী। মঙ্গলবার প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে।
স্কুল অব হেডমিস্ট্রেসেস অ্যান্ড হেডমাস্টার্স-এর সম্পাদক অরুণ ভট্টাচার্যের মতে, স্কুলগুলিতে দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। সিবিএসই, আইএসই-র ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। রাজ্য বোর্ডের স্কুলে যে-হেতু অনলাইন ক্লাসের সুযোগ সবাই পায় না, তাই করোনা বিধি মেনে অগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করে দেওয়া দরকার। ছাত্রছাত্রীদেরও একাংশ চাইছেন, কোভিড বিধি মেনে স্কুলে অন্তত উঁচু শ্রেণির ক্লাস শুরু হোক। গত বছর করোনার কারণে একটানা বন্ধ ছিল স্কুল। ফলে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। কিছু পড়ুয়ার প্রশ্ন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তা হলে বিধি মেনে কিছু ক্লাস হবে না কেন?