—ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রীয় কামধনু আয়োগের উদ্যোগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসার পরীক্ষা’ হতে চলেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের তাতে বসার জন্য উৎসাহিত করতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সচিব রজনীশ জৈন চিঠিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বিস্মিত শিক্ষা শিবির।
পড়ুয়ার পাশাপাশি আমজনতাও ওই পরীক্ষা দিতে পারবেন। মিলবে শংসাপত্র। অনলাইনে হিন্দি, ইংরেজি ও ১২টি আঞ্চলিক ভাষায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি গরু সংক্রান্ত সাহিত্য, রেফারেন্স বা সহায়ক বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে।
ইউজিসি-সচিব জানান, গরুর আর্থিক, বৈজ্ঞানিক, স্বাস্থ্য-কৃষি-পরিবেশগত ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব প্রচারের জন্য রাষ্ট্রীয় কামধনু আয়োগ তৈরি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই পরীক্ষার ফলে গরু সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হবে। দুধ দেওয়া বন্ধের পরেও গরু নিয়ে যে ব্যবসার সুযোগ আছে, সেই বিষয়েও সচেতনতা বাড়বে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘গবেষণার সময়ে মজা করে বলতাম, গরু খুঁজছি (গো+এষণা)। মনে হচ্ছে, সত্যিই গরু খোঁজা শুরু হল।’’ বিজ্ঞান গবেষকদের ফেলোশিপের টাকা আটকে রেখে ছাত্রছাত্রীদের মগজধোলাইয়ের এমন চেষ্টায় ক্ষুব্ধ অনেকে।
শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র সভাপতি তরুণ নস্কর বলেন, ‘‘ইউজিসির নির্দেশিকা হাস্যকর এবং বিজেপির রাজনীতির পরিপূরক।’’ তাঁর মতে, ইউজিসিকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহারের চেষ্টা এতে স্পষ্ট। দাবি উঠেছে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি পার্থিব বসু বলেন, ‘‘গরুর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু বিজ্ঞানচর্চা শুধু তাতে আটকে ফেলা আপত্তির।’’