রাজ্যের স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের সার্বিক রিপোর্ট কার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ৫০ নম্বরের নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ৩০ নম্বরের হবে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,‘‘পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বরের বিভাজন হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডে ৫০ নম্বর বলা হলেও এই নম্বর পরিবর্তন নিয়ে কোনও নির্দেশিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জারি করেনি। যার অর্থ দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ৩০ নম্বরেই হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য পাঠ্যক্রম আগে যা ছিল তাই থাকবে।’’
তবে প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রিক মূল্যায়ন যে হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী ৫০ নয় ৩০ নম্বরেই হবে এই নিয়ে পর্ষদের নির্দেশিকা জারি করা প্রয়োজন। না হলে বহু স্কুল বিভ্রান্তিতে পড়ছে। কিছু স্কুল ইতিমধ্যে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন তৈরি করে ফেলেছে।
শিক্ষা দফতর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে। তাতে পড়ুয়ার শুধু বিষয়ভিত্তিক নম্বরই নয়, তার সার্বিক উন্নয়ন কেমন হচ্ছে তার মূল্যায়নও থাকবে। সেখানে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের মোট নম্বর ৩০, দ্বিতীয় পর্য়ায়ক্রমিক মূল্যায়নে ৫০ এবং তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নে ৭০ নম্বর ধরা হয়েছে। এই কার্ড প্রকাশ হওয়ার আগেই প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন হয়ে গেছিল। তার অবশ্য মোট নম্বর ছিল ১৫। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্টহেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নে কিছু স্কুল পড়ুয়ারা প্রথম সার্বিক মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের যত পেয়েছিল তার দ্বিগুণ করে হিসাব করেছিল। তাতে পূর্ণমাণ ৩০-এর মধ্যের নম্বর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এ ভাবে দ্বিগুণ করলে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন যথাযথ হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।’’
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ৫০ নম্বরের করতে বলেছে। অথচ পর্ষদ এখন বলছে ৩০–এ করতে হবে। কিন্তু পরে যখন রিপোর্ট কার্ডে পড়ুয়ার নম্বর লেখা হবে তখন তো ৫০ নম্বর নয়, ৩০ নম্বরের ভিত্তিতে তার প্রাপ্ত নম্বর লেখা থাকবে। মূল্যায়ন তাহলে হবে কী ভাবে?’’