ফাইল চিত্র।
স্কুলে মিড-ডে মিলের চাল-আলু-ডাল দেওয়ার তারিখ দু’দিন পিছোল। ৬ জুলাইয়ের পরিবর্তে ৮ জুলাই থেকে তা দেওয়া হবে অভিভাবকদের। শনিবার রাতে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছ থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি পান জেলার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা। তাঁরা জেলার সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের তারিখ বদলের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে মিড-ডে মিলের এই তারিখ পরিবর্তনে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাই অসুবিধায় পড়েছেন। কয়েক জন প্রধান শিক্ষক জানান, ৬ তারিখ মিড-ডে মিল দেওয়ার কথা ফোন করে অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার এক দিনের মধ্যে পরিবর্তিত তারিখ আবার অভিভাবকদের জানাতে হবে। অনেক স্কুলে মিড-ডে মিলের আওতায় হাজারের বেশি পড়ুয়া আছে। ফের এক দিনের মধ্যে তাদের সকলের দিন বদলের কথা জানানো খুব কঠিন। বেশ কিছু শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ৬ জুলাই মিড-ডে মিলের চাল, আলু, ডাল ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কথা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আলুর প্যাকেট করা হয়ে গিয়েছিল বহু স্কুলে। প্যাকেটবন্দি অবস্থায় আরও দু’দিন থাকলে এই গরমে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, তারিখ পাল্টানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আগে জানালে সুবিধা হত।
একই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, এ বার মিড-ডে মিলের সঙ্গে পড়ুয়াদের বাংলা শিক্ষা পোর্টালের ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ বা বাড়ির কাজও দেওয়ার কথা। যে-সব স্কুলে হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী, সেখানে প্রত্যেককে বাড়ির কাজ দিতে হলে শিক্ষকদের ২০ থেকে ৩০ হাজার পাতার অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফোটোকপি করাতে হবে। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে, এত কম সময়ে এত ফোটোকপি করার মতো পরিকাঠামো সর্বত্র নেই। সে-ক্ষেত্রে প্রত্যেক পড়ুয়া কী ভাবে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।