প্রতীকী ছবি।
বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের বিক্ষোভ চলছে। সব সংগঠনেরই দাবি, শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য দূর করতে হবে। স্কুলের পরিকাঠামোরও উন্নত করতে হবে।
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, এক লক্ষ ১০ হাজার স্নাতক শিক্ষক বেতন-বৈষম্যের শিকার। অন্যান্য রাজ্যে স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের সঙ্গে স্নাতক শিক্ষকের বেতনের পার্থক্য ২৭০০ টাকা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই পার্থক্য ৯২০০ টাকা! স্নাতক শিক্ষকদের গ্রেড পে-ও অনেক কম। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েও ফল হয়নি। বিক্ষোভকারীরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে। দাবি পূরণ না-হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত ২৩৫টি ‘রিকগনাইজ়ড আন-এডেড’ মাদ্রাসার শিক্ষকেরাও বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত হলেও কোনও সরকারি সাহায্য বা সহযোগিতা পায় না। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুব খারাপ। এই সব মাদ্রাসায় শুধু সরকারি পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইউনিফর্ম নেই, মিড-ডে মিলের বরাদ্দ নেই। মাদ্রাসার পরিকাঠামোর হাল খুব খারাপ। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্যও রয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে জানান শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: ভোট হস্তান্তর হয় কি? বিতর্ক বিধানসভায়