ফাইল চিত্র।
পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন জিটিএ চেয়ারম্যান ও মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা। গত মঙ্গলবার তাকভর চা বাগান এলাকায় বিনয়পন্থী যুবক চেতন থাপা বিমলপন্থীদের হাতে ছুরিকাহত হন বলে অভিযোগ। ওই রাতেই জখমকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। মাঝরাতে কার্শিয়াং থেকে শিলিগুড়ি আসেন অনীত। বুধবার সকালে পাহাড়ে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই ঘটনায় বিমল শিবিরের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম সূর্য তামাং এবং নিখিল রাই। তাকভরের বার্নেসবার্গ চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
অনীতের বক্তব্য, ‘‘পাহাড়ে যে কোনও সময় যে কোনও এলাকায় আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। এতে শান্তি আর পাহাড়ে থাকবে না।’’ তাঁর দাবি, এই পরিস্থিতি যাতে না বদল হয় তা সরকারকে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পাহাড়বাসীরা শান্তির পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। আমরা কাউকে গোলমাল, অশান্তি করতে দেব না।’’
এরমধ্যেই পাতলেবাসে তিন বছর বন্ধ থাকা বিমলের দফতর খুলে ফেলেছেন তাঁর সমর্থকেরা। বুধবার সেখানে বিমলের পতাকা ঝুলিয়ে দিনভর স্লোগান চলে। তবে পুলিশি নজরদারি থাকায় পাহাড়ে এ দিন রাত অবধি কোনও গোলমালের খবর আসেনি। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা জানান, গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই ঘরে বসে থাকা তাঁর সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। এতদিন কোণঠাসা থাকায় এখন শক্তি দেখানোর চেষ্টা করা হবে বলে মনে করছেন ওই পুলিশকর্তা। তবে পাহাড়ে যাতে অশান্তি না ফিরতে পারে তা দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বসে নেই বিনয় তামাং, অনীতেরা। এ দিন সকালে অনীত দার্জিলিং জজবাজারে দলীয় দফতরে আসেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পঙে মোটামুটি অনীতদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তৃণমূলের লোকজনও তাঁদের পাশেই আছে। কিন্তু দার্জিলিং সদরের তাকভর, পাতলেবাস, সিংমারি-র মত বহু জায়গায় বিমলপন্থীরা হঠাৎ সক্রিয় হয়েছেন। সেখানে গোলমালে যাতে কেউ না জড়ায় তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ অনীত দিয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন, দুই তরফ মুখোমুখি হলে গোলমাল অনিবার্য। মঙ্গলবার তাকভরে তাই হয়েছে। চেতন থাপা এখনও নার্সিংহোমে সঙ্কটময় অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ফলে অনীত, বিনয়েরা রাশ ধরে না রাখলে পাল্টা হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।