নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়ে কোন ‘পরিকল্পনা’র অঙ্গ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লেগেছিল, গণনা কেন্দ্রে লোডশেডিং করিয়ে কী হয়েছিল, সে সব বিষয়ে মুখ খুলতে চান বলে দাবি করলেন একদা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ আরমান ভোলা। তাঁর অভিযোগের ইঙ্গিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দিকেই।
বিধানসভার ভিতরে-বাইরে যখন শুভেন্দুকে নিশানা করে সরব তৃণমূল কংগ্রেস, সেই সময়েই কলকাতা প্রেস ক্লাবে এসে বৃহস্পতিবার আরমান বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাই। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি। যে দিন মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন জমা ছিল, সে দিন হলদিয়াতে একটা গন্ডগোল হয়েছিল। ছেলেরা দলবদ্ধ ভাবে নন্দীগ্রামে গিয়েছিল। হলদিয়া থেকে অনেকেই গিয়েছিল, যে দিন মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে আঘাত লাগে। তারা একটা পরিকল্পনা করে গিয়েছিল। সেটা আমরা প্রশাসন এবং সবার কাছে বলব। সঠিক সময় হোক।’’
এত দিন পরে তিনি এই নিয়ে সরব কেন? ভোলার দাবি, শুভেন্দুর যা ভাবনা-চিন্তা, তাতে বাংলায় অশান্তি বাড়বে। সেই কারণেই তিনি আগের ওই ‘পরিকল্পনা’র কথা বলতে চান, দরকারে আদালতেও তথ্য দিতে চান। বিজেপির অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, ভোলাকে দিয়ে এ সব কথা বলাচ্ছে তৃণমূলই। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘হতাশা এবং ভয় কোন পর্যায়ে পৌঁছলে একটা দল এই সব কথা বলাতে পারে! এতে মুখ্যমন্ত্রীরই সম্মানহানি হচ্ছে, ওরা বুঝছে না। তবে যেখানেই আবার গণনা হোক, জিতবেন শুভেন্দুই।’’