(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং বি পি গোপালিকা (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ-সহ অন্য নানা বিধি ঠিক ভাবে মানছে না রাজ্য সরকার, এমন অভিযোগ তুলে ও ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সোমবার মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে, এ দিনই পিএসসি ডব্লিউবিসিএস (এগজ়িকিউটিভ) ২০২৩-এর পরীক্ষার ফলাফলের আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করেছে। এই নিয়ে গোড়া থেকেই সরব হয়েছিল ‘পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ’।
শুভেন্দু সোমবার এক্স হ্যান্ড্লে দাবি করেছেন, রাজ্য বেশ কিছু দিন ধরেই স্থায়ী নিয়োগ করছে না। যে দু’টি কারণে এমনটা ঘটছে বলে বিরোধী দলনেতার দাবি, তা হল— ‘নিয়োগ প্রাপকদের বেতন ও অন্য সুযোগসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগারের আর্থিক চাপ এবং তফসিলি জাতি, জনজাতি, আর্থিক ভাবে অনগ্রসর, বিশেষ ভাবে সক্ষম-সহ নানা ক্ষেত্রের সংরক্ষণ-নীতির প্রতি সম্মান না দেওয়া’। এই সূত্রেই নিয়োগ যাতে ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মেনে হয়, সেই জন্যও মুখ্যসচিবের কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারি নিয়মাবলি প্রশাসনিক স্তরে ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ নামে পরিচিত, যেখানে সংরক্ষণ-বিধিরও উল্লেখ আছে।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ৬,৬৫২টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষমতা জেলা স্তরের নির্বাচনী কমিটিকে দেওয়া হয়েছে, যা ১০০ পয়েন্ট রস্টারের পরিপন্থী। আইন মেনে দফতর যাতে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করে, সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও শুভেন্দুর বক্তব্যে আমল দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিরোধী দলনেতার চিঠি লেখার একটা অভ্যাস আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিঠির বক্তব্যের সারবত্তা থাকে না। যাঁকে চিঠি লেখা হয়েছে, প্রয়োজন মনে করলে তিনি উত্তর দেবেন অথবা দেবেন না।”
এ দিকে, গত ৭ জুলাই ডব্লিউবিসিএস (এগজ়িকিউটিভ)-এর জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ হয়েছিল, তাতে আর্থিক ভাবে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ তালিকা দেওয়া হয়নি। ছিল না ‘কাট-অফ’ নম্বরও। এই নিয়ে পিএসসি দফতরে দাবি জানিয়েছিল পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ। পিএসসি ওই শ্রেণির সংরক্ষণ তালিকা শেষমেশ প্রকাশ করায় মঞ্চের তরফে ইন্দ্রজিৎ ঘোষের দাবি, তাদের আন্দোলনের ফল মিলেছে।