বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের যা হাল হয়ছে, তাতে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরে মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ করেছে, পঞ্চায়েত ভোটে হারের ধাক্কায় এবং লোকসভা নির্বাচনে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় শুভেন্দু এত দিন পরে ফের সারদা-কাণ্ড জিইয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
কয়েক দিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ‘সন্ত্রাস ও কারচুপি’র অভিযোগের আড়ালে দুর্নীতির প্রশ্ন ধামাচাপা পড়ে যায়নি। সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর যোগসাজশ সম্পর্কে তথ্য তিনি শীঘ্রই সিবিআইকে জানাবেন বলেও ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতোই শুক্রবার তিনি সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, সারদা-সহ ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারির মাথা মুখ্যমন্ত্রীই। এই রকম একাধিক সংস্থা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশ রেখে বড় রকমের কেলেঙ্কারি করেছে, যাতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আমানতকারী, এজেন্ট-সহ বহু সাধারণ মানুষ। সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে ৩৪ মাস হাজতে থাকাকালীন তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ একাধিক বার দাবি করেছিলেন, ওই কেলেঙ্কারির সব চেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা। টাকা উদ্ধারের জন্য তল্লাশির দাবিও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ চিঠিতে উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। টুইটে এ দিন তাঁর মন্তব্য, ‘‘চিঠির সঙ্গেই কিছু তথ্য সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছি। যা তথ্য-প্রমাণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।’’
তৃণমূলের নেতা তাপস রায় অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওঁরা বড় ধাক্কা খেয়েছেন। মানুষ যে ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, সম্ভবত তা অনুমান করতে পারেননি। সেই সঙ্গে লোকসভা ভোটে পরিণতি আরও কত শোচনীয় হবে, সেই আশঙ্কায় হয়তো এ সব করছেন!’’