গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বিধায়কদের প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার বিকেল চারটের সময় রাজভবনে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সোমবার সকালে টুইট করে জানিয়েছেন তিনি। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর আরও কোনও কোনও বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন বলে জল্পনা। রাজ্য রাজনীতিতে এই সম্ভাবনার মধ্যেই বিধানসভায় যাতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়, সেই কারণে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দলের ওই কর্মসূচি।
তবে রাজ্যের এক প্রবীণ বিধায়ক মনে করছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার ব্যাপারে রাজ্যপালের কিছু করার নেই। তাঁর কথায়, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র স্পিকারের। শুধু লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার স্পিকার ও চেয়ারম্যানই এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন। এ ব্যাপারে রাজ্যপাল কেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতিরও কিছু করণীয় নেই।’’
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে শুভেন্দুর এই কর্মসূচি কেন? মুকুলের দল ছাড়ার বিষয়টা যে বিজেপি ভাল ভাবে নিচ্ছে না, তা এক রকম পরিষ্কার। বিষয়টি তারা সহজে ছেড়ে দিতেও চায় না। যে কারণে হয়তো সোমবার সদলে রাজভবনে যাওয়ার এই কর্মসূচি শুভেন্দুর। বিষয়টি নিয়ে যাতে সর্বসমক্ষে আরও বেশি চর্চা হয়, আপাতত সেটাই চাইছেন বিজেপি নেতারা।
শুক্রবার যখন মুকুল তৃণমূলে যোগ দেন, তারপরেই শুভেন্দু বলেছিলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন তিনি কার্যকর করে ছাড়বেন। এর পাল্টা তৃণমূলও জবাব দেয়। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আগে নিজের বাবাকে এই সব বলুন, তার পর অন্য লোককে জ্ঞান দেবেন।’’ সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপি-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর পর তৃণমূল ইতিমধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবিতে সংসদে স্পিকারের কাছে আবেদনও করেছে। এই সূত্রে সেই কথা তুলে আনেন কুণাল। অতীতে এমন অনেক নজির রয়েছে যে দলত্যাগ করেও অন্য দলের বিধায়ক থেকে গিয়েছেন অনেকে। সাম্প্রতিক অতীতে দলবদল করা বিধায়কদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউই বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপি-তে যাননি।