Suvendu Adhikari

আলাপন বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকেননি, বাংলার আমলারা অসহায়, বললেন শুভেন্দু

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কেন উপস্থিত ছিলেন, তার জবাব দিতে গিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ২২:০২
Share:

শুভেন্দু অধিকারী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মোদীর সঙ্গে দেখা করেও বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, হয়তো বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। একই সঙ্গে বাংলার আমলারা অসহায় বলে দাবি করে তিনি মমতার উদ্দেশে শনিবার বলেন, ‘‘অনেকটা সময় অপেক্ষা করে আপনি আসার পরে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাই। কিন্তু আপনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছু নথি আর দাবিপত্র দিয়ে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন দিঘা যেতে হবে বলে। কোনও রাজ্যে কোথাও এমনটা হয় না। আপনার মুখ্যসচিব আপনাকে সঙ্গ দিয়েছেন। হয়তো বাধ্য হয়েই সঙ্গ দিয়েছেন।’’

Advertisement

আলপনকে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে শনিবার মমতা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘মুখ্যসচিব বাঙালি বলেই কি এমন অসম্মান?’’ এর জবাবে সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘কথায় কথায় বাঙালি অবাঙালি করবেন না। ভোটের আগেও এটা করেছেন। এতে কাজ হবে না।’’ এখানেই থামেননি শুভেন্দু। রাজ্যের আমলারা অসহায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আইএএস, আইপিএস অফিসাররা কোড অব কনডাক্ট জানেন। কিন্তু আপনি পালন করতে দেন না। এই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আমলারা চলছেন।’’

ওই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা কেন উপস্থিত ছিলেন তার জবাব দিতে গিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘আপনি বিরোধী দলনেতাকে মর্যাদা হয়তো না-ও দিতে পারেন, কারণ আপনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। আপনার দুঃখ আছে, কষ্ট আছে। এক জন বিধায়ক না হওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে এক জন মানুষের ভোটে জেতা, সংবিধান মেনে স্বীকৃত বিরোধী দলনেতাকে অপমান করার অধিকার কেউ দেননি।’’ মোদীর বৈঠকে তাঁর উপস্থিতি থাকা সম্পর্কে শুভেন্দু দাবি করেন, ওড়িশাতেও বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আর এই রাজ্যে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকেও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement