তন্ময় মণ্ডল
জমি বিতর্কে সাসপেন্ড হওয়া প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় মণ্ডলকে দলে ফিরিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল।
আগামী কাল, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূলের দফতরে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপস্থিতিতে তন্ময়বাবু তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।
২০০১ সালে রাজারহাট বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হন তন্ময়বাবু। রাজারহাট ব্লকের সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। বেদিক ভিলেজ এবং নিউটাউনের জমি-দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়। তাঁরই সঙ্গে রাজারহাটের তৎকালীন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর সুখেন চক্রবর্তী এবং শঙ্করনারায়ণ দত্তের বিরুদ্ধেও জমি-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একের পর এক অভিযোগ ওঠায় ২০০৯ সালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন জনকে দল থেকে সাসপেন্ড করেন।
দীর্ঘ ন’বছর পরে আবার তন্ময়বাবুকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ কী? উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে আবেদন করেছিলেন তন্ময়বাবু। তাই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’’
বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি রাজারহাট-গোপালপুরের যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দেবরাজের বক্তব্য, ‘‘আমার সঙ্গে তন্ময়বাবুর ভাল সম্পর্ক। অনেক দিন ধরেই উনি যোগাযোগ রাখছেন।’’ তন্ময়বাবুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখন দলে ফেরানো হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া অন্য দু’জন বেশ কিছু দিন ধরেই অবশ্য তৃণমূলের কাজে ‘সক্রিয়’। সুখেনবাবুর কন্যা এবং শঙ্করবাবুর স্ত্রী দু’জনেই বর্তমানে বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।