রাজ্যে কত রেড পান্ডা, সমীক্ষার প্রস্তুতি

এবারে দুই জঙ্গলে মোট কত রেড পান্ডা রয়েছে, তা জানতে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করতে চলেছে রাজ্য বনদফতর। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই সেই কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন বনকর্তারা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৬
Share:

রেড পান্ডা

পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাওয়ার মুখে রেড পান্ডা। ভারতের মাত্র যে তিনটি রাজ্যে রেড পান্ডা পাওয়া যায় তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। রাজ্যের দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার দু’টি জঙ্গলেই এই রেড পান্ডার দেখা মেলে।

Advertisement

এবারে দুই জঙ্গলে মোট কত রেড পান্ডা রয়েছে, তা জানতে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করতে চলেছে রাজ্য বনদফতর। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই সেই কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন বনকর্তারা।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিংহ (বন্যপ্রাণ) বলেন, “রেড পান্ডা খুবই বিরল প্রাণী। আমাদের রাজ্যের উচ্চতম এলাকার অরণ্যে এই রেড পান্ডার স্বাভাবিক বাসস্থান রয়েছে তাই তাদের সংখ্যা জানতেই আমরা সুমারি করব।”

Advertisement

সুমারি শুরুর আগে তার প্রস্তুতি হিসেবে প্রাক-সমীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেই সমীক্ষায় রাজ্যের দুই জঙ্গলে মোট ৮০টিরও বেশি রেড পান্ডার হদিশ মিলেছে বলে বনদফতরের দাবি। এর মধ্যে দার্জিলিঙের সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্যে ৫০টির মত এবং কালিম্পঙের নেওরা ভ্যালিতে ৩০টির মত রেড পান্ডার দেখা মিলেছে। পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি বনকর্তাদের।

তবে রেড পান্ডার সমীক্ষা করা ভীষণই কঠিন বলে দাবি পরিবেশপ্রেমীদের। তাঁদের বক্তব্য, পান্ডা ভীষণ লাজুক প্রকৃতির এবং দিনের বেলায় উঁচু গাছের ডালে উঠে থাকার জন্যে সহজে চোখে পড়ে না। তাই পান্ডা-দর্শন করতে রাতের বেলাই আদর্শ সময়। আবার নেওরা ভ্যালিতে যেহেতু রয়্যাল বেঙ্গল থাকার প্রমাণ বারবার মিলেছে, তাই কোনও অবস্থাতেই ঝুঁকি নিতেও রাজি নন বনাধিকারিকেরা।

রেড পান্ডার মল সংগ্রহ করে তার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পৃথকীকরণ করে নির্ভুল সমীক্ষার উপরেই বনদফতর এবার বিশেষ নজর দিতে চাইছে। সেই ক্ষেত্রে এক পান্ডা দু’বার গণনা হলেও মল সংগ্রহ করলে সেই গণনা নির্ভুল হবে বলেই দাবি বনদফতরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement