Medical College Admission Case

দুই বিচারপতির সংঘাত, মামলা আজ শীর্ষ কোর্টে

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, এই সব বিষয় বিচারপতি সিংহ তাঁকে যেমন বলেছেন, তেমনই কলকাতা হাই কোর্ট এবং দেশের প্রধান বিচারপতিকেও লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:০৩
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টের সংঘাত নিয়ে আজ সোমবার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে।

Advertisement

শনিবার প্রথম দফায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, দুটোই স্থগিত করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডাক্তারিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধেও শীর্ষ কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক, শিক্ষা মন্ত্রক, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এবং মূল মামলাকারী ইতিশা সোরেনকে বিবাদী পক্ষ হিসাবে যুক্ত করেছে রাজ্য।

সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ঘিরে দুই বিচারপতির এই সংঘাত বিরল, দাবি আইনজীবীমহলের। সেই কারণেই প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ বসানোর কথা ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট এবং শনিবার সেই বেঞ্চ বসে। আজ, সোমবার এই মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়, সে ব্যাপারে আইনজীবী মহলের কৌতূহল অসীম। আইনজীবীদের একাংশের মতে, কোনও একক বিচারপতির রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু সেখানে নিয়ম পালন করা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে পারে। মৌখিক আবেদনের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হতে পারে। আইনজীবীদের অনেকের মতে, কারও বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কিংবা এমন কোনও বিষয় যাতে জীবন-জীবিকা যুক্ত, সেখানে এই ধরনের জরুরি শুনানি করা যায়। কিন্তু রাজ্যের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের শুনানি এক দিন পরে হলে তেমন কোনও বিপদের আশঙ্কা ছিল কি?

Advertisement

উল্লেখ্য, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি এবং ডিভিশন বেঞ্চের সংঘাত দেখা দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রায় দিলে সেই রায়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন বলেও লিখিত নির্দেশে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ করেন, বিচারপতি সেন আদালতের শীতকালীন অবকাশের আগে বিচারপতি অমৃতা সিংহকে নিজের চেম্বারে ডেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরক্ত করতে নিষেধ করেন। প্রাথমিক দুর্নীতি মামলা খারিজ এবং আদালতের লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে বলেন।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, এই সব বিষয় বিচারপতি সিংহ তাঁকে যেমন বলেছেন, তেমনই কলকাতা হাই কোর্ট এবং দেশের প্রধান বিচারপতিকেও লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, প্রথম দফায় তাঁর নির্দেশের প্রতিলিপি না দেখে এবং প্রথাগত আপিল ফাইল হওয়ার আগে কী ভাবে বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিল?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement