সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা যুদ্ধে জয়ীদের সংখ্যা জেনে ‘স্তম্ভিত’ শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। পাশাপাশি কমিশনকে বুধবারের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনগুলি নিয়ে সমস্ত তথ্য-সহ হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ বিপুল সংখ্যক আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এটা জানার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। ৪৮০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে প্রায় ১৬০০০ আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এটা সত্যিই ধাঁধা। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনগুলিতেও একই চিত্র সামনে আসছে।’’
পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো ও একদিনের মধ্যেই তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ই- মনোনয়নের বৈধতা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা নিয়েই ছিল শীর্ষ আদালতের শুনানি। হাজির ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য। সবকিছু ঠিক নেই জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি দীপক মিশ্র, এ এম খানউইলকর ও ডি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪৮৬৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ১৬৮১৪ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি ৯২১৭ টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনের মধ্যে ৩০৫৯ টি ও ৮২৫ টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ২০৩ টি আসনে বিনা যুদ্ধে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: মৃতদের পরিবারকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপি রাজনাথের বাড়িতে, নিশানায় চোরাচালান চক্রও
শীর্ষ আদালতে রাজ্য বিজেপির আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া জানান, নির্বাচনের সময় রাজ্যে পরিকল্পিত ভাবে ব্যাপক হিংসা চালানো হয়েছিল। পাশাপাশি, কোন কোন আসনে ভোট হয়নি, তার একটি জেলাভিত্তিক তালিকাও তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ভর্তি তো কী? টাকা কেমন ভাবে তুলতে হয় ‘দাদা’রা জানেন...
‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথার্থ ও সঠিক’’। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য জানার পর ট্যুইট করে জানিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।