প্রতীকী ছবি।
অভিযুক্তের তালিকায় আছেন সাংসদ, বিধায়কেরাও। তাই নারদ স্টিং অপারেশনে অর্থ লেনদেনের মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন লোকসভা ও বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি। সেই অনুমতি না-পাওয়ায় চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না বলে সিবিআই সূত্রের খবর। যদিও নারদ মামলায় চার্জশিট পেশে গড়িমসির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণনের এজলাসে জানান, বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি চেয়ে কোনও আবেদনই জানায়নি সিবিআই। এই ব্যাপারে সিবিআই-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
এই মামলা করেছেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, এখন চার্জশিট দাখিলের জন্য লোকসভা বা বিধানসভার স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজনই নেই। এ দিন শুনানিতে অমিতাভবাবুর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, স্পিকারের অনুমতি না-নিয়েই এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা দিতে পারে সিবিআই।” সিবিআইয়ের আইনজীবী চান্দ্রেয়ী আলম বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।” সিবিআই আর্জি জানিয়েছিল কি না,তা তিনি খোঁজ নেবেন বলেও জানান চান্দ্রেয়ী।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগেই নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন মন্ত্রী-সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল (যদিও আনন্দবাজার সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমিতাভ চক্রবর্তী। বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রায় চার বছর ধরে নারদ মামলায় অভিযু্ক্ত মন্ত্রী ও সাংসদদের জেরা করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
অমিতাভবাবু এ দিন বলেন, ‘‘সিবিআই-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশেরর নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অনুমতির অজুহাত তুলে সিবিআই তদন্তে ঢিলেমি করছে। নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত কয়েক জন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মূলত তাঁদের আড়াল করতেই সিবিআই নানা অজুহাত তুলে তদন্তকে বিপথে চালানোর চেষ্টা করছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বাড়ির প্রাচীর টপকে ঢোকার সময় সিবিআইয়ের যে-সক্রিয়তা আমরা দেখেছি, নারদ তদন্তে তার লেশমাত্র দেখতে পাইনি।”