—ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিশীথের রক্ষাকবচ খারিজ করে দিয়েছিল। এর পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার মামলার শুনানিতে নিশীথের আইনজীবী আবেদন করেন, সার্কিট বেঞ্চে আগামী ২২ জানুয়ারি শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তত দিন পর্যন্ত তাঁর মক্কেলকে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। এর বিরোধিতা করেন রাজ্যের আইনজীবী। তিনি জানান, মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে যে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু এর জন্য রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিশীথের আইনজীবীর পাল্টা বক্তব্য, যদি মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিতে পারে রাজ্য, তা হলে লিখিত নির্দেশেও অসুবিধা থাকার কথা নয়।
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, হাই কোর্টে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিশীথের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। সেই সঙ্গে বেঞ্চ জানায়, তারা এখনই মামলার ভিতরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নয়। তবে হাই কোর্টের কাছে শীর্ষ আদালতের আবেদন, তারা যেন আগামী শুনানিতে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন সব দিক ভাল করে খতিয়ে দেখে।
২০১৮ সালে কোচবিহারের দিনহাটায় একটি খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় নিশীথের। তাঁর নির্দেশেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা করে পুলিশ। জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। সেই পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে রক্ষাকবচ চেয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিশীথ। কিন্তু এ বছরের গোড়ায় নিশীথের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সার্কিট বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে যান নিশীথ। তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জবাবও তলব করে শীর্ষ আদালত। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী নিশীথকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কেন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন না? কিসের আশঙ্কা করছেন আপনি?’’ তার জবাবে নিশীথের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার রক্ষাকবচের আবেদন হাই কোর্টে খালি পিছিয়েই যাচ্ছিল। এটা একটা রাজনৈতিক ব্যাপার। যখন আমার মক্কেল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।’’