বিমানের যেমন পাইলট। জাহাজের ক্যাপ্টেন। এ বার দূরপাল্লার ট্রেনেও সর্বেসর্বা হবেন ক্যাপ্টেন।
দূরপাল্লার ট্রেনে সফরের সময় যাত্রীরা কোনও সমস্যায় পড়লে তা সরাসরি জানানো যাবে ক্যাপ্টেনকে। তিনিই সমস্যা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে তা মেটানোর ব্যবস্থা করবেন। তফাতও থাকছে। পাইলট বিমান চালান। জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন ক্যাপ্টেনই। কিন্তু ট্রেনের লাগাম ক্যাপ্টেনের হাতে থাকবে না।
তবু ট্রেনের বড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ক্যাপ্টেনদের। পাইলট প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে দক্ষিণ রেলের চারটি ট্রেনে এই উদ্যোগ সফল হয়েছে। তাই এ বার সব অঞ্চলেই এই প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রেল। কী ভাবে কাজ করবেন ট্রেনের ক্যাপ্টেন?
রেল সূত্রের খবর, দূরপাল্লার ট্রেনে এক জন করে ট্রাভেল টিকিট এগ্জ়ামিনার (টিটিই) বা টিকিট পরীক্ষককে ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তার জন্য ট্রেন-ক্যাপ্টেন লেখা বিশেষ ব্যাজ দেওয়া হবে তাঁদের। দূরপাল্লার ট্রেনের রেলকর্মী ছাড়াও বেসরকারি ঠিকা সংস্থার কর্মীরা সেই ক্যাপ্টেনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) এবং রেল পুলিশ (জিআরপি)-ও ট্রেনের মধ্যে যে-কোনও ঘটনায় দায়বদ্ধ থাকবে তাঁর কাছেই। ফলে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য থেকে নিরাপত্তা, কামরার পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার কথা তাঁকে জানানো যাবে।
ট্রেন ছাড়ার আগে সংরক্ষণ তালিকায় ট্রেনের ক্যাপ্টেনের নাম এবং ফোন নম্বর জানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে-সব ট্রেন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম রয়েছে, সেখানে ওই ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যাপ্টেনের নাম এবং ফোন নম্বর জানানো হবে।
তবে কর্মী-সঙ্কটের বাজারে এই পরিকল্পনা সর্বত্র সফল ভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে কি না, সেই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ। এক আধিকারিক বলেন, “টিটিই-দের এখন গড়ে ৩-৪টি সংরক্ষিত কামরার টিকিট পরীক্ষার দায়িত্ব সামলাতে হয়। সেই কাজ করে তাঁদের পক্ষে ট্রেনের দায়দায়িত্ব সামলানো কঠিন হবে।”