টাকা নেওয়ার কথা মেনেছেন সুলতান: ইডি

বুধবার তাঁর ভাই খানাকুলের বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ ইডি-র কাছে দাবি করে যান— ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা কলকাতার একটি নামী ফুটবল ক্লাবে তিনি দান করে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:১০
Share:

হাজিরা: ইডি-র দফতরে সুলতান আহমেদ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

বিধায়ক ভাইয়ের পরে বৃহস্পতিবার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেন সাংসদ দাদাও। ইডি-র দাবি, উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ জেরায় জানিয়েছেন— ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে খরচ করেছেন।

Advertisement

বুধবার তাঁর ভাই খানাকুলের বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ ইডি-র কাছে দাবি করে যান— ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা কলকাতার একটি নামী ফুটবল ক্লাবে তিনি দান করে দিয়েছেন।

ইডি-র পাশাপাশি নারদ কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই-ও। বুধবার রাতেই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তারা ফোন করে এ দিন হাজির হতে বলে। সুব্রতবাবু অবশ্য আসেননি। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকেও তলবি নোটিস দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে কাকলিদেবীর ব্যক্তিগত ই-মেলে ওই নোটিস পাঠিয়ে সোমবার তাঁকে সিবিআই তফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে এই দু’জনও রয়েছেন। টিভিতে তাঁদেরও ম্যাথুর কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। কাকলির কাছে ম্যাথুকে পাঠিয়েছিলেন সুলতানই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুলতানকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করেন ইডি অফিসারেরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে— ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া ৫ লক্ষ টাকা যে তিনি নির্বাচনে খরচ করেছেন, সে বিষয়ে কিছু নথিও এ দিন পেশ করেন সুলতান। ইডি অফিসারদের কথায়, ‘‘প্রথমত এই সব নথি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। যে দিন ক্ষণের কথা বলা হয়েছে, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে।’’ নির্বাচনের যে খরচ প্রার্থীরা নিয়মমাফিক নির্বাচন কমিশনে জমা দেন, তার সঙ্গে সুলতানের পেশ করা নথি মিলিয়ে দেখবে ইডি। তবে, বিদেশি সংস্থার কোনও প্রতিনিধিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেওয়া টাকা কেন ঘুষ হিসেবে বিবেচিত হবে না, সে টাকা নির্বাচনের কাজে খরচ করা যায় কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন অফিসারেরা। এ বিষয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতানকে ফের জেরা করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।

এ দিন সিবিআই দফতরে হাজির না-হয়ে আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়ে সপ্তাহ খানেক সময় চেয়েছেন সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমি যাব, কিন্তু কবে— তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। যখন যাব, সবাইকে জানিয়েই যাব।’’ ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের পরে তিনি সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দিতে চান।

কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘বুধবার আমি মধ্যমগ্রামে ছিলাম। সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবায় সমস্যা রয়েছে। আজ সকালে কলকাতায় এসে সিবিআইয়ের ই-মেলটি দেখেছি।’’ সাংসদ জানান, দলের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি ঠিক করবেন সিবিআইয়ের দফতরে যাবেন কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement