Recruitment Scam

‘কুন্তল, শান্তনুকে চিনি, আমার কাছে নোটিস যায়নি’, সিবিআই জেরার পর কী বললেন ‘কালীঘাটের কাকু’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুজয়ের দুই আইনজীবীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৮
Share:

প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। ফাইল চিত্র।

প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন যে, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিস যায়নি। তাঁকে আবার তদন্তকারীরা ডেকে পাঠিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাকে আবার ডাকা হয়নি।” নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সেই কুন্তল এবং বলাগড়ের আর এক যুবনেতা শান্তনুকে তিনি চেনেন বলেও বুধবারও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।”

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, ‘‘টাকা নিয়েছি কি না ওঁরা (তদন্তকারী) আমায় জিজ্ঞাসা করেছে। নিলে ওঁদের বলতাম।” সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে এ-ও জিজ্ঞাসা করা হয় যে, কয়লা কেলেঙ্কারিতে তিনি যুক্ত কি না। প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত হন সুজয়।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুজয়ের দুই আইনজীবীও। দফতরে ঢোকার মুখে তিনি জানান, সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির থাকার কথা বলেছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া দিয়ে তিনি আইনজীবীকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে এসেছেন। ঢোকার মুখে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সুজয় বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিস পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একাধিক অভিযুক্তের মুখে উঠে আসে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়ের নাম। তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষের মুখে তিনি কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন। তবে প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement