সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে সংশোধনাগারে (জেলে) ফিরে গেলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’। সোমবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।
ছ’মাসেরও কিছু বেশি সময় ধরে ‘কাকু’র হাসপাতালে থাকা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে আদালতের নির্দেশে জানুয়ারির শুরুতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে পেরেছে ইডি। সেই নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত অডিয়ো ক্লিপের কণ্ঠস্বর। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কণ্ঠস্বর মিললে সমস্যায় পড়তে পারেন একাধিক প্রভাবশালী।
তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, মূলত কণ্ঠস্বরের নমুনা যাতে না দিতে হয়, সেই কারণেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ‘কাকু’ জেলের বদলে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকছিলেন। শেষের দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন বলে সূত্রের দাবি।
‘কাকু’ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, এই যুক্তিতেই সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবীরা। ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থা কেমন সে বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি ঘোষ। আদালত সূত্রের খবর, এসএসকেএম তার রিপোর্টে জানিয়েছিল গুরুতর অসুস্থ না হলেও ‘কাকু’ নানা রোগে আক্রান্ত। ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘কাকু’র জামিনের আর্জির রায় ঘোষণা হতে পারে বলে খবর।
গত অগস্টে বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস অস্ত্রোপচার হয় ‘কাকু’র। তার পরে ফিরে যান সংশোধনাগারে। গত ২২ অগস্ট রাতে আচমকা বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। তার পর থেকে কখনও আইসিইউ, কখনও কেবিনে থাকছিলেন ‘কাকু’।