ফাইল চিত্র।
কোভিডের টিকা নিয়ে আজ সর্বদল বৈঠকে অতিমারি পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার দিকটি তুলে ধরল তৃণমূল। কংগ্রেসের আশঙ্কা, কোভিড সঙ্কটের কারণে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সে বিষয়ে সরকারে নীতি স্থির করা উচিত।
আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী, ডিএমকে নেতা টি আর বালু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার প্রমুখ। ডাকা হয়নি আরজেডি-কে। সেই দলের নেতা তেজস্বী যাদব ক্ষোভ জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বিহারের সব চেয়ে বড় দল হওয়া সত্ত্বেও এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন ডাকা হল না তাঁদের?
সূত্রের খবর, বৈঠকে সুদীপ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব যে রিপোর্টটি দিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সব ভাল যার শেষ ভাল। মানুষ এখনও জানেন না, কোভিড বাড়ছে না কমছে। পুরো বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে দিশা দিতে আবেদন করেছেন তিনি। টিকা দেওয়া কবে থেকে শুরু করা যাবে, এই প্রশ্নটিও রেখেছেন। অতিমারি মোকাবিলার প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সুদীপের বক্তব্য, প্লাজ়মা ব্যাঙ্ক, টেলি-কাউন্সেলিং, কোভিড হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় নেমেছেন পরিস্থিতির মোকাবিলায়।
গুলাম নবির বক্তব্য, কোভিডের জেরে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যাতে বিপদগ্রস্ত না-হয়, তার জন্য সরকার নীতি নিক। সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সবাইকে তথ্য জানিয়ে এগোক সরকার। সকলের কাছে সস্তায় টিকা পৌঁছে দেওয়াটাই আসল। একই কথা বলেছেন দেবগৌড়াও।
টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘প্রেজ়েন্টেশন’-এর সময়ে টি আর বালু আপত্তি তোলেন, কেন তা হিন্দিতে হচ্ছে? ইংরেজিতে সাবটাইটেল নেই কেন? তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়, ইংরেজি সংস্করণটিও সবাইকে দেওয়া হবে। পরে বালু তাঁর বক্তব্যে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, বৈঠকটি কোভিড নিয়ে হচ্ছে। সেটা নিয়েই কথা বলা উচিত। সূত্রের খবর, বালু জবাবে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন। মাঝখানে হিন্দিতে ফোড়ন না কাটাই ভাল!
অধীরের মতে, প্রধানমন্ত্রী আজ বাছাই করা দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেও আমজনতার মধ্যে টিকা নিয়ে বিরাট সংশয় রয়েছে। সংসদীয় অধিবেশন ডেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা প্রয়োজন। কৃষক আন্দোলনের সমাধানে কেন্দ্র কী করছে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী আজ কিছু বলেননি। কংগ্রেস নেতার কথায়, “আমরা শুনেছিলাম, তবলিগি জামাতের থেকে গোটা দেশে করোনা ছড়িয়েছে। এখন কৃষকেরা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণে জমায়েত করতে বাধ্য হয়েছেন। সেখানে তো আরও বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।”