বামফ্রন্টের বৈঠকে তাঁদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিস্মিত এবং স্তম্ভিত এসইউসি নেতৃত্ব! দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, এর পরেও তাঁরা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে সাম্রাজ্যবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসূচিতে থাকবেন। কিন্তু তার বাইরে অন্য কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের যোগদান নির্ভর করবে দলের বিবেচনার উপরে। বস্তুত, বামফ্রন্টের সঙ্গে আন্দোলনে হাত মেলানোর সময় থেকে এই অবস্থান নিয়েই চলছে এসইউসি।
সাম্প্রতিক কালে বামফ্রন্টের নানা কর্মসূচির সঙ্গে এসইউসি-র দূরত্ব তৈরি করা নিয়ে মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শরিক নেতারা। প্রভাসবাবুর বিস্মিত প্রশ্ন, ‘‘বিমান বসু ওই বৈঠকে ছিলেন। তিনি আমাদের সব বক্তব্যই জানেন। তিনি সে কথা সেখানে বললেন না কেন?’’ প্রভাসবাবুর ব্যাখ্যা, বাম জমানায় বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির সময় থেকেই এসইউসি-র সংগঠন ‘অ্যাবেকা’ আন্দোলন করে আসছে। তাই সিপিএমের সঙ্গে বিদ্যুতের মাসুল নিয়ে আন্দোলনে তাঁরা যোগ দেবেন না। অতীতে সিপিএম-ও সন্ত্রাসে অভিযুক্ত। ফলে, সন্ত্রাসের প্রতিবাদেও তাদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে তাঁরা যাবেন না। প্রভাসবাবুর আরও কটাক্ষ, ‘‘আছে ৬ দলের মোর্চা। ১৭ দলের সকলের নাম কেউ বলতে পারবেন? অথচ তারা আসছে! এরা আদতে সিপিএমের রবার স্ট্যাম্প।’’
লোহাচুরির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূলের সোহরাব আলির বিধায়ক-পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভায় বামেদের বিক্ষোভে এসইউসি-র সে ভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও বামফ্রন্টের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রভাসবাবু এ দিন যখন তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, দলের বিধায়ক তরুণ নস্কর তখন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তিনিও সোহরাবের বিধায়ক-পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন। পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর জন্য বিধানসভায় আলোচনার দাবির কথাও চিঠিতে লিখেছেন তিনি।